ক্ষুদিরাম বসাক : সুড়ঙ্গঁ পথে আলো। বঙ্গবন্ধু টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অনন্য গর্বিত স্থানে। অর্থনীতিতে প্রভাব হবে সুদূর প্রসারী। বিশ্ব অর্থনীতির সূচকে ৩৫তম শক্তি বাংলাদেশ এখন আরও দ্রুততর অগ্রগতির পথে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যাতায়াত হচ্ছে। স্বপ্ন এখন বাস্তবে। ব্যয় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। সুড়ঙ্গঁ সড়ক যৌথভাবে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ ও চীন। দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। বহিঃবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। মেট্রোরেল প্রকল্প আরেকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। ঢাকার যান চলাচলের স্থবিরতা দূর করে মেট্রো রেল গড়ি সঞ্চার করেছে। জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হয়েছে। এই উড়াল সড়কে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় কমিয়ে এনেছে দুই/তিন ঘন্টা থেকে মাত্র ১০ মিনিটে।
সামগ্রিক বিবেচনায় দেখতে গেলে উন্নয়ন এ সমৃদ্ধি এ সরকারের মৌলিক বৈশিষ্ট্য যা দেশের সর্বাত্মক অগ্রগতির নিয়ামকও। বাংলাদেশ এখন এক অবিস্মরণীয় উন্নয়নের দেশ। কোভিড, অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও মেগা প্রকল্পগুলো অব্যাহত আছে। যা বিশ্ব সভায় শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে সমাসীন করেছে। উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই উন্নয়নের রোড ম্যাপ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সরকারের প্রতিশ্রুতি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পৌঁছে যাওয়ার যে রূপকল্প গ্রহণ করেছেন সরকার, জনগণ তার সুফল পাচ্ছে। এখন জমির খাজনা পরিশোধ করতে তহশিল অফিসের বারান্দায় ধর্ণা দিতে হচ্ছে না। অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য চেক বই জরুরি নয়। পরীক্ষার ফলাফল মুহূর্তের মধ্যে জানা যাচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বকে জানা যাবে।
প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলতে হয়, ভারতের সাথে বাণিজ্য তিনগুণ বেড়েছে। খুলনা-মোংলা রেলপথ ভবিষ্যতে ঢাকা-কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করবে। তাতে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।