বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে জলাবদ্ধতাসহ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এখানে উপকূলীয় প্রায় ষাট লাখ মানুষের বসবাস। জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এ অঞ্চলে রয়েছে বিপুল সংখ্যক সামুদ্রিক জলজ প্রাণী। এখানে ভ‚বনবিখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন অবস্থিত। সুন্দরবনের নিটবর্তী বঙ্গোপসাগর। প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে শক্তহাতে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নীতি কৌশল প্রণয়ন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং সেগুলো বাস্তবায়নে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একনেকে পাস হয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় টিআরএম একটি উপযুক্ত নদী ব্যবস্থাপনা হওয়া সত্তে¡ও কিছু অদক্ষ কর্মকর্তার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় টিআরএম বাদ দিয়েছেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল সম্পর্কে জানা বোঝা বা উন্নয়নের জন্য একটি মন্ত্রণালয় দেওয়া জরুরী। কেন্দ্রীয় পানি কমিটি সদস্য ও এনজিও রূপালী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জাতির জনকের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান।
তিনি আরও বলেন, মহামারী কোভিড-১৯ এর ভয়াল গ্রাসের মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আগের অর্থ বছরের তুলনায় ১৫৫ ডলার বেড়ে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না, যদি এ অঞ্চলের সমস্যা সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন না করা হয়। তাহলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই ৬০ লক্ষ মানুষকে স্থানান্তরিত করে অন্যত্র বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। সে জন্য সুষ্ঠু পরিচালনার মাধ্যমে এ অঞ্চলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় অতি জরুরী।
শফিকুল ইসলাম বলেন, হাওড় এলাকার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পাহাড়ী এলাকায় মাত্র কয়েক লক্ষ মানুষ বসবাস করে সেখানকার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় আছে। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৬০ লক্ষ মানুষের বসবাস। এখানে ভ‚বন খ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন অবস্থিত। এসময় তিনি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় দেওয়ার দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।