জন্মভূমি ডেস্ক
আজ সোমবার থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ১৪ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের করোনা বিশেষজ্ঞ জাতীয় কমিটির পরামর্শের প্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত শনিবার ভারতের সঙ্গে ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধের দাবিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ও ভারতের পশ্চিম বাংলায় করোনাভাইরাসের ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট ই.১.১৬৮ (বেঙ্গল স্ট্রেইন) আবির্ভাব ঘটার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ। মারাত্মক সংক্রমক এই বেঙ্গল স্ট্রেইনের বাংলাদেশে প্রবেশ প্রতিরোধ লক্ষ্যে ভারত থেকে আগমন ও প্রস্থান বাতিল করতে আগামী ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা হারুন অর রশিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা রওশন আরা, জনস্বাস্থ্যসেবা সংগঠক অনুপ কুÐু ও সামিউল আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রথম থেকেই জনগণকে সম্পৃক্ত করার নীতি গ্রহণ না করে শেখ হাসিনা সরকার আমলা নির্ভর ভ্রান্ত নীতি গ্রহণ করায় দেশের জনস্বাস্থ্য আজ এক হুমকির মুখে পড়েছে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ না হয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার স্থায়ী হতে চলেছে।
বিবৃতিতে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নীতি গ্রহণ করা , আগামী বাজেটে কোভিড-১৯ প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে সামরিকখাতসহ অনুৎপাদক খাতে বরাদ্দ হ্রাস করে স্বাস্থ্যখাত, শিল্প ও কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
এ দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আজ সোমবার থেকে আগামী ১৪ দিনের জন্য বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে। রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেছিলেন, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যেন দেশে না ঢুকে সে জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করা দরকার। জাতীয় কমিটি এ নিয়ে আলোচনা করেছে। দ্রæতই সরকারকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে আশঙ্কাজনক হারে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে। ডাবল ও ট্রিবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কথা শোনা যাচ্ছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর যদি এ ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলেই আসে তাহলে সেটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতে কুলাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।