জন্মভূমি রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পালের সভাপতিত্বে মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার, খুলনা সদরে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সিনবায়োটিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরোজ কুমার মিস্ত্রী, উপপ্রকল্প পরিচালক, এসসিএমএফপি, প্রফেসর ড.মো: গোলাম সরোয়ার, বিভাগীয় প্রধান, এফএমআরটি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মো: হারুনর রসিদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র,বাগেরহাট ও মো: আনিছুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা,সাতক্ষীরা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রকল্পের মূখ্য গবেষক প্রফেসর ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বক্তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, লবনাক্ততা ও জীববৈচিত্র্য পরিবর্তিত হচ্ছে। অত্যধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে লবণাক্ততা বৃ্দ্ধি পাচ্ছে ফলে চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে রোগের সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিংড়ির মড়কসহ নানাবিধ কারণে উৎপাদন কমে যাচ্ছে, উৎপাদন খরচ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে চিংড়ি চাষকে টেকসই ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরী হয়ে পড়েছে।
চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে সিনবায়োটিক প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত ফলপ্রসু ও কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও মালয়শিয়ায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিংড়ি উৎপাদনে বিশেষ সফলতা লাভ করছে। এই প্রযুক্তিতে প্রিবায়োটিক ও প্রবায়োটিক (উপকারী ব্যাকটেরিয়া) একত্রে ব্যবহারের ফলে চিংড়ি চাষের পরিবেশ উন্নত হয়, ক্ষতিকর রোগ জীবাণূ মারা যায়, পানির গুনগত মান বজায় থাকে, চিংড়ির অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায় ফলে চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, উৎপাদনও বাড়ে।
মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের গ্রান্ট উইন্ডো-১ এর আর্থিক সহায়তায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি চাষিদের ঘেরে এই গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি সফভভাবে বাস্তবায়িত হলে চিংড়ি সেক্টরে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবিলা করে টেইসই চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এসময় সেমিনারে গবেষণা প্রকল্পের সহ গবেষণ ড. মো: আছাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠিান ও ল্যাবরেটরির প্রতিনিধিবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, চাষিবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
![](https://dainikjanmobhumi.com/wp-content/uploads/2024/06/06-06-2024-17-330x220.jpg)
Leave a comment