বাগেরহাট অফিস : স্বামী-স্ত্রী দুজনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সকাল ৮টার দিকে তারা দুজনেই চলে যান যে যার বিদ্যালয়ে। বাসায় ছিলেন একমাত্র ছেলে। সাড়ে ৮টার দিকে ঘরে তালা লাগিয়ে তিনিও ঘুরতে বের হয়ে যান। সেই সুযোগে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা চোরচক্র দরজার হ্যাসবোল কেটে বাসায় ঢুকে স্টীলের আলমারী ভেঙে লুটে নেয় ৮ভরি স্বর্ণালঙ্কার। সোমবার দিনের বেলায় দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে উত্তর কদমতলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ও হাসি আক্তার নামে এই শিক্ষক দম্পতির ভাড়া বাসায়। চোরেরা একই সময় বাড়ির মালিকের বাসার তালা ভেঙে মালামাল তছনছ করেছে। তবে সেখান থেকে কিছু নিতে পারেনি চোর।
সিদ্দিকুর রহমান উপজেলার ৪৬নম্বর উত্তর রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং তার স্ত্রী হাসি আক্তার উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের টিটি এন্ড ডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে।
শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ও হাসি আক্তার জানান, তারা হাসপাতালের পেছনের কদমতলা গ্রামের আসাদুজ্জামানের বাড়ির দোতলায় একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন। সকাল ৮টার দিকে তারা দুজনেই বিদ্যালয়ে চলে যান। বাসায় থাকা তাদের একমাত্র ছেলে কায়েস আরমান তাওহীদ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। সেই ফাঁকে চোরেরা দোতলার ফ্লাটে হানা দিয়ে আলমারীতে রাখা ৮ভরি পরিমাণ বিভিন্ন ধরণের স্বর্ণের অলঙ্কার নিয়ে যায়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, চুরির খবর পেয়ে শিক্ষক দম্পতির বাসায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহর করা হয়েছে। চোরচক্র দোতলার ফ্লাটের দরজার হ্যাসবোল কেটে বাসায় প্রবেশ করে। ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে শুধুমাত্র ৮ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে চোরেরা। অন্যকোনো মালামাল নেয়নি। একই সময় চোরেরা বাড়ির মালিক চট্টগ্রামে বসবাসকারী আসাদুজ্জামানের বাসায়ও হানা দেয়। তবে সেখান থেকে কিছুই নিতে পারেনি। চোরচক্রকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।