বাগেরহাট অফিস : বাগেরহাটের কচুয়ায় নিখোজের ৩ দিন পর হযরত খানজাহান (রহ:) মাজার শরীফের দীঘি থেকে ভ্যান চালক পোল্লাদ দাসের (৪৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মাদকাসক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গত মঙ্গলবার দুপুরে হযরত খানজাহান (রহ:) মাজার শরীফের দীঘি থেকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহটি সনাক্ত করেন। এরপর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। শুরু হয় বাগেরহাট শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন মোঃ ইউসুফ (৩৬) কে ঢাকার দারুস সালাম প্রিয়াঙ্গন আবাসিক এলাকা থেকে পিবিআই মেট্রো উত্তর ও পিবিআই হেডকোয়ার্টারের সহায়তায় গত বুধবার দিনগত রাতে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ শামসুল হক শামসু (২৬), এরপর শামসুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩২) কে নিহত পোল্লাদ দাসের অটোরিকশাসহ গ্রেফতার করা হয়।
বাগেরহাটের পিবিআই পুলিশ সুপার আবদুর রহমান জানান, আসামিদের গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তী মতে অটো রিকসা চুরির উদ্দেশ্যে তারা ভিক্টিমকে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সেবন করার পর দিঘীর পানিতে ফেলে দিয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামি মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, মোঃ ইউসুফ মোঃ শামসুল হক এর কাছ থেকে ভ্যানটি তিনি ক্রয় করে তার টাকার অংশ রেখে বাকি টাকা অপর দুই জনকেকে ভাগ করে দিয়ে দেয়। তারা নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য প্রায়ই বিভিন্ন অটোরিকশা চুরি করত বলে স¦ীকার করে। গ্রেফতাররা সকলেই বাগেরহাটের চিতলমারী থানার বাসিন্দা বলে জানান পিবিআই। নিহত পোল্লাদ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সংদিয়া গ্রামের পরিতোষ দাসের ছেলে। ভ্যান চালক পোল্লাদ দাস তিনদিন আগে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে নিখোঁজ হয়। এঘটনায় কচুয়া থানায় নিখোঁজের সাধারন ডায়রি করে পোল্লাদ দাসের পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে আদালতের হাজির করা করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।