২০২১-২০২২ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। আয়ের উৎস না বাড়িয়ে জনগণের মাথার উপরে ঋণের হার বাড়িয়েই চলছে সরকার। গতানুগতিক বড় বাজেট প্রণয়নের চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাস্তব ও জনবান্ধন বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।
শুক্রবার (০৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ ও সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন এক যুক্ত বিবৃতিতে একথা বলেন।
তারা আরও বলেন, করোনার সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বাজেট প্রণেতাদের বাজেটে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন ছিল দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপে ফেলে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য পরিকল্পনা সমূহের। প্রয়োজন ছিল সাধারণ জনগণের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর। দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম থামাতে সরকার পুরোটাই ব্যর্থ।
তারা বলেন, গতানুগতিক বড় বাজেট প্রনয়নের আগে দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করে তাদের অসৎ আয় ও বিদেশে টাকা পাচারকারীদের টাকা দেশে ফেরত আনতে পারাটার মধ্যেই স্বার্থকতা রয়েছে। জনগণ মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করবে আর এসি রুমে বসে আপনারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিবেন এটা মেনে নেয়া যায় না। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে আগে দুর্নীতি রুখে দিন।
প্রস্তাবিত বাজেটে করোনায় বিপর্যস্থ মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুই নেই। অথচ জনপ্রশাসনে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে অবৈধ সরকার আবারো প্রমাণ করলো তারা জনগণের ভোটে নয়; বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সামাজিক নিরাপত্তার কথা বললেও সামাজিক নিরাপত্তার মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়েনি, এই বাজেটে নতুন দরিদ্র ও শহরের দরিদ্রদের জন্য কোনই কর্মসূচি রাখা হয়নি। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই অর্থ বাজেটে তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয় সুপারিশ করেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এমন ব্যয় রেখে অনুৎপাদনশীল ব্যয় কাট ছাট করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে।