সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপির গ্রুপিং রাজনীতির কারণে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সম্মেলনের দিন মঞ্চে স্থান পাননি। তবে এই শহরে সম্মেলনের আগে মঞ্জুকে লিফলেট বিলি, মিছিল করতে দেখা গেছে। বিএনপির দুগ্রুপই সম্মেলনের দিন শহরজুড়ে মহড়া দিয়েছে। এ সময়ে তাদের হাতে বাঁশের লাঠি, কাঠের চালাসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ছিল। সেগুলো দিয়েই দেশের সম্পদ খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছে। ওরা আওয়ামী লীগ অফিসের আগুন দিয়েছে। নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিএনপি সমাবেশ কেন্দ্র করে ১০ জেলা থেকে লোক এনেছে। বাস মালিক, লঞ্চ মালিক, তারা নিজেদের স্বার্থেই পরিবহন বন্ধ রেখেছিলেন এই ভয়ে, বিএনপি আবার ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ চালায় কিনা। খুলনায় আসার পথে তাদের কোথাও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি। নিজেরাই সহিংসতায় জড়িয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ‘এ দেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। আমরা কত আসন পাব, তা জনগণই নির্ধারণ করবে, বিএনপি মহাসচিব নন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিএনপির সব অপপ্রচারের জবাব রাজনৈতিকভাবেই দেওয়া হবে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, আশরাফুল ইসলাম,খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জামাল, মফিদুল ইসলাম টুটুল, সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুর রহমান পলাশ, আসাদুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।