মুহাম্মাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
এম সাইফুল ইসলাম : দশ জেলাকে টপকিয়ে খুলনা বিভাগের সেরা স্কুল বটিয়াঘাটার মুহাম্মাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক-সংকট। ক্লাস নিতে হচ্ছে দুই শিফটে। পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বারান্দায়। যা নিয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বিভাগের সেরা স্কুলের মর্যাদা লাভ করে মুহাম্মাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখন দেশ সেরা হওয়ার অপেক্ষায়। গল্লামারী-বটিয়াঘাটা সড়ক ধরে একটু সামনে যেতেই বাঁ পাশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২শ’ ৫৬ জন। আর শিক্ষকের পদ আছে ১৮ টি। রুম রয়েছে ১৬ টি। যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় খুবই কম। যার ফলে দুই শিফটে ক্লাস নিতে হয়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বারান্দায়ই পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। চার ফুট লম্বা বেঞ্চে গাদাগাদি করে তিনজন বসে আছে।
শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, জেলার সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষার পরিবেশ এবং ফলাফল নিয়ে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরই বটিয়াঘাটা উপজেলার সেরা বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়ে আসছে মুহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর আগে ২০১২, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে এটি। আর বিদ্যালয়টিকে এই অবস্থানে নিয়ে আসতে প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান ময়না পেয়েছেন সেরা প্রধান শিক্ষকের শ্রেষ্ঠত্ব। অনুভূতি ব্যক্ত করে মনিরুজ্জামান ময়না বলেন, এই কৃতিত্ব বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, অভিভাবক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সকলের। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা ছাড়া কখনোই উপজেলায় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা সম্ভব হতো না। তিনি বিদ্যালয়ের আরও উন্নতির জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে দুই পালায় ক্লাস হয়। শিশুদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত বেঞ্চ না থাকায় বারান্দায় পরীক্ষা নিতে হচ্ছেন।