জন্মভূমি ডেস্ক
আন্দোলন করা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের বিরোধীরা একটা সুযোগ পাচ্ছে। তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক আমি তো চাচ্ছি। আমি নির্দেশ দিয়েছি, তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়।
রোববার (১৪ আগস্ট) গণভবনে আওয়ামী লীগের ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আটজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকের আগে এমন নির্দেশনা দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে—রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমরা নই, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রত্যেকটা মহাদেশের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জিনিসের ওপর প্রভাব পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ভুক্তভোগী না, সারা বিশ্বের মানুষই ভুক্তভোগী। মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। সেই কষ্ট লাঘবের জন্য আরও কী কী করা যায়, তার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কষ্টটা যে বুঝি না, তা না। আমাদের বিরোধীরা একটা সুযোগ পাচ্ছে। তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক আমি তো চাচ্ছি। আমি নির্দেশ দিয়েছি—তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে, আমি আসতে দেবো। আজকেও আমি নির্দেশ দিয়েছি—তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার তাদের কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়, বিরক্ত করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায়, করুক। অসুবিধা কী?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করতেছি, সেটা দেশের মানুষ জানে ও বুঝে। হ্যাঁ না কথা বলবে। বিরোধী দল সুযোগ যখন পাচ্ছে, সেটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি বেশি করতে চায়, এর প্রভাবে তো দেশের মানুষের কষ্ট তো আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।’
গণভবনে বৈঠকে উপস্থিত আছেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সিলেট বিভাগে শাখাওয়াত হোসেন শফিক, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগে এসএম কামাল হোসেন, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এবং বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক আফজাল হোসেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ। তবে করোনাসহ নানা কারণে দলটির তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দলের প্রধান শেখ হাসিনার বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সিরিজ বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরই অংশ হিসেবে আজ ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আটজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।