জন্মভূমি ডেস্ক : রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে আগুনে পুড়ে ৪৬ জন নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে রমনা থানায় মামলা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী জানান।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ভবনমালিক এবং রেস্তোরাঁর কয়েকজন মালিক ও স্টাফকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে আটক করার কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান ‘চুমুক’-এর দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ ‘কাচ্চি ভাই’-এর বেইলি রোড শাখার কর্মকর্তা জয়নুদ্দিন জিসান।
তাঁদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার আদালতে নেওয়া হবে বলে রমনার সহকারী কমিশনার সালমান ফার্সী জানান।
গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনটির নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ আছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনে আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে খেতে যাওয়া ব্যক্তিরা আগুনের মুখে আটকা পড়ে। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু পুরো ভবন ছিল আবদ্ধ। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল না।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, ভবনটির নিচের তলার চা কফির দোকান ‘চুমুক’ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফলে আগুন উপরের দিকে উঠে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ নিচে নামার সুযোগ পায়নি। আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।