শহিদ জয়,যশোর : যশোরের বেনাপোলে স্থল বন্দরের আলোচিত লিটন ইমরান-হাসান-জসিম গংয়ের গড়ে তোলা ল্যাগেজ পাচার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম থামছেই না। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এই ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের কারনে প্রতিদিন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।প্রতিদিন প্রায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হাতছাড়া হচ্ছে সরকারের। দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট^ কর্মকর্তা-কর্মচারি আর হাতেগোনা কয়েকজন বিজিবি সদস্যের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সীমান্তের কুখ্যাত লিটন ইমরাণের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। প্রতিদিন সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হলেও দুর্নীতিবাজদের পকেটে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। যাকে ব্যবহার করে স্থল বন্দরের বেনাপোলের আলোচিত ল্যাগেজ পার্টির সিন্ডিকেটের কারণে রাতারাতি বনে যাচ্ছে কোটিপতি। স্থানীয়দের দাবি বিজিবির সোর্স পরিচয় দেয়া বিতর্কিত ইমরাণের নেতৃত্বে লিটন, জোনাব আলী, হাসান, জসিম ,জালাল , রহিম, সবুজ, সোহেল, জুয়েল, সাহেব, সামাদ, জামাল, রাজু ,বাবু, নড়াইলে সাগর, রবিউল, পলাশ, ইব্রাহিম, সোহেল, আশা, লাভলু, রানা, মিলন, মানিক, মামুন হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। একই সাথে বিজিবিকে ম্যানেজ করে তাদের টেবিল পার করে মালনিয়ে যাচ্ছে আলোচিত মাসুদ, জিয়া, ফরিদ শাহিন, শরিফুল, জনি, জিয়া,আফজাল, ভান্ডরি ইয়ান, বাবলা এই মাল বেনাপোল বাজার এস পরিবহন এ মাল বুকিং দিয়ে দিচ্ছে এই চক্র। এদের সাথে আরও রয়েছে ফটোকপি শহিদ,চা উজল, মিঠু, মুসাসহ চিহ্নিত লুটেরার দল। এরা বিজিবির বিপথগামী কতিপয় সদস্যকে ম্যানেজ করতে ব্যাগ প্রতি ১০০০ টাকা নিয়ে থাকে। এদের আটক করলেই সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে আলোচিত এই ল্যাগেজ পাচার সিন্ডিকেট। আর পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে আনা পন্যগুলো এলসির মাধ্যমে আমদানি হবে সরকার পাবে কোটি টাকার রাজস্ব। এসব সিন্ডিকেটের সদস্যদের ব্যবহৃত ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ট্যাগ করলেই ইমরান লিটন সহ তার সিন্ডিকেটের মুল হোতাদের চিহ্নিত করা যাবে। ইমরাণ নিজেকে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে তার সিন্ডিকেট উল্লেখিত সদস্যদের মাধ্যমে চুটিয়ে মালামাল পাচার করে চলেছে। অদৃশ্য কারণে বিজিবি আটক করছে না ইমরাণ লিটন সিন্ডিকেটের পাচার করা ল্যাগেজ। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ল্যাগেজ পারাপার করে থাকে। একজনের কাছে ৩টি করে ব্যাগ নিয়ে ভারতীয় বিপুল সংখ্যক পাসপোর্ট যাত্রীএপারে আসছে। লিটন ইমরাণ সিন্ডিকেট এবং তার সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগও রয়েছে। সিন্ডিকেটের প্রধান আলোচিত ইমরান প্রতিদিন প্রায় এক লাখ টাকা আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে। যা গোয়েন্দা বিভাগের লোকেরা তদন্ত করলে বেড়িয়ে পড়বে। ইমরান সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হলো, লিটন, জোনাব আলী, হাসান, জসিম ,জালাল , রহিম, সবুজ, সোহেল, জুয়েল, সাহেব, সামাদ, জামাল, রাজু , বাবু, নড়াইলে সাগর, রবিউল, পলাশ, ইব্রাহিম, সোহেল, আশা, লাভলু, রানা, মিলন, মানিক, মামুন। বিজিবিকে ম্যানেজ করে তাদের টেবিল পার করে মাল নিয়ে যাচ্ছে আলোচিত মাসুদ, জিয়া, ফরিদ শাহিন, শরিফুল, জনি, জিয়া, আফজাল, ভান্ডরি ইয়ান, বাবলা। আবার এই মাল বেনাপোল বাজার এস পরিবহন বুকিং দিয়ে দিচ্ছে এই চক্র ফটোকপি শহিদ, চা উজল, মিঠু, মুসা গং। প্রতিদিন ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক ল্যাগেজ পাটি অবৈধ মালামাল নিয়ে সকালে বাংলাদেশে আসে আবার বিকেলে ফিরে যান। এরা নিয়ে আসেন শাড়ি, থ্রিপিস, সাবান, শ্যমপু, সেন্ট, মেহেদী, নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন মালামাল। সম্প্রতি যশোর ডিবি পুলিশ এই চক্রের তিনজনকে বিপুল পরিমান কসমেটিকস সামগ্রীসহ আটক করে। আটক তিন জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মালামাল। যার মধ্যে রয়েছে,২৮০ পিস ডাভ সাবান, ১৭৫ পিচ ফিয়ামা সাবান, ৪০ পিচ মারগো সাবান, ৭১০ বোতল দুলহান তেল, ৪টি ডাভ সেম্পু, ৫টি ট্রেসমি সেম্পু, ৮০ পিচ ফিয়ামা সাওয়ার জেল, ৪০ পিচ ফগ বডি স্প্রে, ১৫০ পিচ পন্ডস্ ব্রাইট বিউটি ফেসওয়াস। জব্দকৃত আলামতের সর্বমোট মূল্য ৫ লাখ ৭০ হাজার ৩০০ টাকা। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয় কিন্তু থেমে থাকে নি কেউ। এই চক্রের অবৈধ ল্যাগেজ পাচার সিন্ডিকেট খুবই সক্রিয় শক্তিশালী। ইমরান ও লিটনের কাছে দেশী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে সীমান্তের অনেকেই জানালেন ।এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্টে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে ল্যাগেজ পার্টির দৌরাত্ম কমবে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হবে বলে বেনাপোল বন্দর ব্যবসায়ীদের অভিমত।