যশোর অফিস : ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে বুঝতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে দেখা করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, দুই শো গ্রামের প্রায় দুই লক্ষ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। প্রতিদিন পানি বাড়ছে। বাড়ি ঘর, ফসলের জমি, মাছের ঘের সব পানিতে একা কার। বাড়ি ঘরে বসবাস করা যাচ্ছে না। এখনি যদি পানি নামানোর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করা হয়, তবে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হবে পানি বন্দী মানুষ। বোরো মৌসুমেও ফসল হবে না। আমডাঙা খাল দিয়ে অবিলম্বে পানি বের করার উদ্যোগ নিতে হবে,কোন অযুহাত দেখানো চলবে না। সেচ প্রকল্প শুধুই অপচয়, সেচ প্রকল্প বাদ দিতে হবে। টি আর এম ই জলবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র পথ। টি আর এম এর কোন বিকল্প নেই। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর ” পানি সরানোর মানুষ বাঁচানোর “দাবিতে পানি বন্দী মানুষ সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের অফিসে অবস্থান নেবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি এই সময় কালে পানি না সারায় বা সরাতে না পারে, তাহলে উক্ত পানি বন্দী মানুষ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ঘেরাও করবে উক্ত সময়।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমি ২৪ ঘন্টা কাজ করছি পানি সরাতে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি কমাতে পারবো।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, তসলিম উর রহমান, জিল্লুর রহমান ভিটু, প্রদিপ কুমার বিশ্বাস, পিযুষ কান্তি দে, উদয় শংকর বিশ্বাস, মিলন কুমার মন্ডল, ভগিরত বিশ্বাস, আব্দুল আজিজ, মুজাহিদুর ইসলাম, মহিউদ্দিন, পলাশ বিশ্বাস প্রমুখ।