By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: ভুয়া প্রত্যয়ন দেখিয়ে ৪ হত্যা মামলার জামিন
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > খুলনা > ভুয়া প্রত্যয়ন দেখিয়ে ৪ হত্যা মামলার জামিন
খুলনাতাজা খবর

ভুয়া প্রত্যয়ন দেখিয়ে ৪ হত্যা মামলার জামিন

Last updated: 2024/07/15 at 4:53 PM
স্টাফ রিপোর্টার 2 years ago
Share
SHARE

আওয়াল শেখ, নিজস্ব প্রতিবেদক : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে টানা ১৩ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে আছেন মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন। ৩০ বছরের চাকুরী জীবনে টানা ১৩ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত থেকেও উল্টো তার ভাগ্যের আরও উন্নতি হয়েছে। জড়িয়ে পড়েছেন জমির ব্যবসায়ে। এই ব্যবসায়ে বাঁধা আসলে প্রতিপক্ষকে দমাতে হত্যা করতেও দিধা করেন না তিনি। পুলিশের রেকর্ড থেকে জানায়, এ পর্যন্ত তিনি ৪টি হত্যা মামলায় জড়িত রয়েছেন। এর কোনটিতে তিনি এজাহার ভুক্ত আসামী। আবার কোনটিতে চার্জশীট ভুক্ত আসামী।
তবে একাধিক হত্যা মামলায় জড়িত থাকলেও তাকে বেশি দিন কখনোই কারাবরণ করতে হয় না। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর পাওয়া গেছে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চাকরির প্রত্যয়ন দেখিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে নেন।
২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারী রাতে খুলনা মহানগরীর রায়েরমহল এলাকায় আতশবাজির শব্দে আশে-পাশের এলাকার সাধারণ মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘটনার পর বিভিন্ন সূত্রে তারা খবর নিয়ে জানতে পারেন, জমি ব্যবসায়ী মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আসেছেন। তাই তাকে পটকা ও বাজি ফুটিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এই সময় মোল্লা মোয়াজ্জেমের গলায় ফুলের মালা দিয়ে হুড খোলা গাড়ীতে করে নগরীর বয়রা বাজার থেকে রায়েরমহল নিয়ে আসা হয়। বিপুল সংখ্যক মোটর সাইকেলের মহড়া নিয়ে আনন্দোল্লাস করে মোল্লা মোয়োজ্জেম এলাকায় প্রবেশ করেন।
এই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করেন এই প্রতিবেদক। তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর বাগেরহাটে জেলার ফকিরহাটে দুপুর বেলা মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ পড়ে বের হয়ে, শ্বশুরবাড়ী যাবার পথে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং গুলিতে আহত হন জাহিদ মীর। প্রথমে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।
জাহিদ মীর আহত হওয়ার পর তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ফকিরহাট থানায়। যা পরে হত্যা আমলায় রূপান্তরিত হয়। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত ২নং আসামী ছিলেন মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন। এজাহারে বলা হয়, জাহিদ মীর খুলনার রায়েরমহল এলাকায় জমি জমার ব্যবসা করেন। এই বিরোধের কারণে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যা প্রচেষ্টা মামলাটি পরবর্তীতে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

                                                                            ভুয়া প্রত্যয়ন ব্যবহার করে জামিন লাভ

ভুয়া প্রত্যয়ন, যা দেখিয়ে মামলা হতে জামিন পান মোল্লা মোয়াজ্জেম।

ওই জাহিদ মীর মৃত্যুর আগে নাম প্রকাশ করে গিয়েছেলেন মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেনের। যার কারণে তাকে মামলার ২নং আসামী করা হয়।
এ ঘটনায় ফকিরহাট থানা পুলিশ ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেনকে রায়েরমহল নিজ বাসভবন হতে গ্রেফতার করেন। তবে তিনি কিভাবে এত সহজে জামিন পেলেন, এই নিয়ে শুরু করা হয় আরও অনুসন্ধান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্সের খুলনার সিনিয়র স্টেশন অফিসার, মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেনকে একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। যে প্রত্যয়নপত্রে বলা হয়, ‘মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন ফায়ার ফাইটার (পিএননং ৪৬৬২, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন বাগেরহাট) সংযুক্ত খুলনা সদর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছেন। তিনি গত ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর ১৬/১০/২০২২ তারিখ রাত ৮টা পযর্ন্ত খুলনা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের অভ্যন্তরে অবস্থান করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বাড়ীতে গমন করেন।’
এই প্রত্যয়নপত্র-এর অর্থ দাঁড়ায় হত্যাকাণ্ডের সময় মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন ফায়ার অফিসে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সরকারী সেবা-মূলক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমন প্রত্যয়ন-পত্রের কারণে হত্যা-মামলার এজাহারভুক্ত আসামী এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য থাকার পরও আদালত হতে তিনি দ্রুত জামিন লাভ করেন।
ওই প্রত্যায়নে স্বাক্ষর করা ছিল খুলনা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার সাইদুজ্জামানের। আদালত থেকে সেই প্রত্যয়ত তুলে সত্যতা যাছাই করা জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যান এই প্রতিবেদক। তবে প্রত্যয়ন-পত্র দেখে ষ্টেশন অফিসার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘এটি আমার স্বাক্ষর নয়, আর সাময়িক বরখাস্ত থাকলে তার অফিসে কোন কাজ থাকে না। শুধু মাসিক একটি হাজিরা দিতে হয় তাকে।’

বরখাস্ত ফায়ারম্যান মোল্লা মোয়াজ্জেম চারতলা বাড়ী।

১৩ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্স অধিদপ্তরের তৎকালিন মহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান স্বাক্ষরিত পত্রে মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, ‘এই আদেশ কার্যকর হবে ২২/১২/২০১০ তারিখ হতে অর্থাৎ তিন বছর ৬ মাস ২৬ দির আগে থেকে।’
আরও বলা হয় যে, ‘জনৈক আসলাম শিকদার ডুমুরিয়া থানায় ১৮/১২/২০১০ তারিখে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হল।’
এই সময় মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন খুলনার টুটপাড়া ষ্টেশনে কর্মরত ছিলেন। এই সাময়িক বরখাস্তের পর মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেনকে তিন বছর ৬ মাস ২৬ দিনের নেয়া বেতনের টাকা ফেরত দিতে হয়।
ওই একই মামলায় আসামী হয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফায়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম স্বাধীনও। মামলার পর পরই আনোয়ারুল ইসলাম স্বাধীন বরখাস্ত হলেও তথ্য গোপন রাখায় তিন বছর ৬ মাস ২৬ দিন পরে বরখাস্ত হন ফায়ারম্যান মোল্লা মোয়াজ্জেম।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাদের দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে, ফায়ার ফাইটার মোল্লা মোয়াজ্জেম একজন মাস্তান, ভূমিদস্যু, অত্যাচারি, সন্ত্রাসী ও খুনি ব্যক্তি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসাবে ১৯৮৯ সালে ফায়ার-ফাইটার পদে যোগদানের পর পদ ব্যবহার করে জমি দখলের মাধ্যমে বিপুল অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করলেও তিনি নানা উপায়ে জামিন লাভে সক্ষম হন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেরও নেতা বলে তার পরিচিতি রয়েছে।
খুলনা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্স সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘সাসপেন্ড হওয়া কয়েকজন ফায়ারম্যানকে নিয়ে বড় সমস্যাই আছি। প্রায় তাদের নামে অভিযোগ আসে।’

সাময়িক বরখাস্ত যখন আশির্বাদ
খুলনার ডুমুরিয়ায় আসলাম শিকদারের চিংড়ি ঘের দখল করার মামলার আসামী হয়ে সাময়িক বরখাস্ত হন ফায়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম স্বাধীন এবং মোল্লা মোয়াজ্জেম। দু’জনই আগে থেকে খুলনার রায়েরমহল এলাকায় বসবাস করতেন।
এই সূত্র ধরে সেখানে মোল্লা মোয়াজ্জেম জমি এবং গরুর ডেয়ারী ফার্ম ব্যবসায় শুরু করেন। আর আনোয়ারুল ইসলাম স্বাধীন মুগরীর খামার করে ব্যবসায় নেমে পড়েন। মোল্লা মোয়াজ্জেম এই সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার আগেও একবার ১৮ মাস জেলে ছিলেন বলে নিজে স্বীকার করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সাময়িক বরখাস্ত থাকায় অফিসে তাদের কোন কাজ-কর্ম নাই, তাই মাসে যে কোন একদিন এসে মাসিক স্বাক্ষর করে চলে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম করলে ফায়ার সার্ভিস-এর সনদ ব্যবহার করে তারা আইনের গন্ডি থেকে মুক্তি লাভ করেন। বরখাস্ত হয়ে গত ১৩ বছরে মোল্লা মোয়াজ্জেম রায়েরমহল মোল্লাপাড়া ভিতর চারতলা বাড়ীর মালিক হয়েছেন।

৪ হত্যা মামলার আসামী
পুলিশের রেকর্ড থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ সাত থেকে আটজন নগরীর রায়েরমহল এলাকার হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়ে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। ঘটনার পর ১০ জুন নিহতর ছেলে আল মামুন সুমন বাদী হয়ে হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। ওই হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত রয়েছেন আসামী মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন।
২০২১ সালের ২৩ নভেম্বের সন্ধ্যার দিকে রায়েরমহল মোল্লাপাড়া এলাকার সত্তরোর্ধ্ব আমীর শেখ স্ত্রীর কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে ঘর থেকে

মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।

বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সন্ধান করা হয় সম্ভাব্য সব আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে। মাইকিং করা হয় বিভিন্ন এলাকায়। পোষ্টার লাগানো হয় শহরের বিভিন্ন স্থানে তাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার জন্য। পরে ২৭ নভেম্বর তার খোঁজ মেলে বটিয়াঘাটা উপজেলার নারায়ণখালীর একটি সংযোগ খালে, মৃত অবস্থায়। তাকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ ব্যাপারে নিহত আমীর শেখের স্ত্রী জামিলা বেগম ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামীও মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন। ওই সময়ে তিনি ও একই এলাকার মিজান মোল্লা র‌্যাব হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর বাগেরহাটের ফকিরহাটে দুপুর বেলা মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ পড়ে বের হয়ে শ্বশুরবাড়ী যাবার পথে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং গুলিতে আহত হন জাহিদ মীর। প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। জাহিদ মীর আহত হওয়ার পর তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায়। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত ২নং আসামী ছিলেন মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন।
এছাড়া একই এলাকার হাসেম আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম হত্যার একমাত্র আসামী ছিলেন। আলেয়ার মেয়ে রেশমা বলেন, ‘মামলার আসামী হওয়ার পর বাদী ও সাক্ষিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর করছিল মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন। এখনো আমার ভাই মোয়াজ্জেমের ভয়ে এলাকা ছেড়ে খুলনায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।’
তবে এসব অপকর্ম নিয়ে মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে শুরু করেন নানা রকমের বাহনা।
তিনি বলেন, শত্রুরা আমার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সবগুলি মামলার ব্যাপারে আমার কাছে প্রত্যয়ন আছে। আমি ওই সময়ে অফিসে ছিলাম। আমি তো সরকারী চাকুরী করি। তাই রয়ারমহল থাকতে হয়। অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ পান না, তারা শত্রুরা আমাকে মামলা দেয়।
এসব কথা বলা কালে জাহিদ মীর হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি অফিসে থাকার সেই সনদপত্রটি বের করে দেখান। বলেন, ‘আমার দুই হাত পঙ্গু, আমি কি-ভাবে জাহিদ মীরের গলা টিপে ধরবো?’
হাত-ভাঙ্গা তাহলে ফায়ার-ফাইটারের কাজ করেন কি-ভাবে? এমন প্রশ্ন করলে বলেন, ‘চাকুরী ছেড়ে দিবো।’
তার বিরুদ্ধ একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, ‘শাহাদাৎ হত্যা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু আমি দেয়নি বলে চার্জশীটে নাম দিয়েছে।
শেখ আমীর শেখ হত্যা সম্পর্কে বলেন, ‘সে আত্নহত্যা করেছে, কিন্তু তার ছেলে পুলিশে চাকুরি করে তাই মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’
সাময়িক বরখাস্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন, রেশন গচ্ছা দিচ্ছে। এতে আমার কি দোষ?’
তিনি নিজেকে সাবলম্বী দাবি করে বলেন, এবছর আমি ৮০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছি। আমার স্ত্রী, পুত্র ও জামাই ব্যবসা করেন, তারা আয়করও দেন। আর আমি নিজেদের জমি-জমা কেনা-বেচা করি।
এক পর্যায়ে তিনি উল্টো তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি খারাপ লোক হলে, আমার মুক্তির পর এত লোক কেন আমাকে স্বাগত জানালো, সেটা বলেন।’

স্টাফ রিপোর্টার February 22, 2023
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article যশোরে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
Next Article ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল-দিল্লি
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
Uncategorized

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলার পাতায় খাওয়া

By করেস্পন্ডেন্ট 14 minutes ago
সাতক্ষীরা

জলবায়ুর থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সুন্দরবনও

By করেস্পন্ডেন্ট 9 hours ago
সাতক্ষীরা

হারিয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী কাছারি ঘর

By করেস্পন্ডেন্ট 10 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

খুলনা

দাকোপে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

By করেস্পন্ডেন্ট 16 hours ago
জাতীয়তাজা খবর

গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর

By করেস্পন্ডেন্ট 16 hours ago
খুলনা

ডুমুরিয়ায় ভিডব্লিউবি কার্ডের প্রস্তুত সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত

By করেস্পন্ডেন্ট 17 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
 

Loading Comments...
 

    Welcome Back!

    Sign in to your account

    Lost your password?