শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া নেহাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার টিনের দুইটি একাডেমিক ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর থেকে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতিষ্ঠানটির দুইটি টিনের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত এবং অফিস রুমের ছাউনি ঝড়ে উড়ে গেছে। এতে করে মাদ্রাসাটির প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবী করেন সুপার মাওলানা আনিছুর রহমান। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আনিছুর রহমান জানান, মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ছয় রুম বিশিষ্ট একটি এবং ৫ রুম বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর ছিল। যা ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝড়ের আঘাতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এসময় টিনের ভবনের মধ্যে থাকা ৬০টি হাই বেঞ্চ, ২০টি টেবিল, ৩০টি চেয়ার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অফিস ভবনের টিন উড়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে মাদ্রাসার ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে ইবতেদায়ী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাদ্রাসায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ের কারণে মাদ্রাসার টিনের ঘর দুইটি বিধ্বস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেওয়ার সম্ভব হচ্ছেনা। মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, ১৯৭৮ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে এলাকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদ্রাসাটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় বিগত প্রায় ৪০ বছরেও অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ৬রুম ও ৫ রুম বিশিষ্ট টিনের দুইটি ঘর ছিল। যা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ঘর দুইটি দ্রুত মেরামত করতে না পারলে তাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।
মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মাদ্রাসা ভবন: পাঠদান বন্ধ
![](https://dainikjanmobhumi.com/wp-content/uploads/2024/06/02-06-2024-330x220.jpg)
Leave a comment