মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সালমা আক্তার নামে এক তরুণীর একের পর এক মিথ্যা মামলায় প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আলকাজ উদ্দিনের পরিবার। এর প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী পরিবারটি বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলকাজ উদ্দিনের পুত্রবধু চম্পা বেগম জানান, উপজেলার দাউদখালী এলাকার রত্তন তালুকদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সালমা মোবাইল ফোনে তার সৌদি প্রবাসী স্বামী নাসিরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে নাসির দেশে এসে তার অজান্তে সালমাকে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করেন। কিছু দিন পরে সালমার একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক ও অসদচারণ পরিলক্ষিত হলে নাসির তাকে এড়িয়ে চলেন। এতে সালমা ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ের কথা গোপন রেখে নাসিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু কাজী অফিস থেকে বিয়ের কাবিননামা দেখালে তাতে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার বৃদ্ধ শ^শুর আলকাজসহ পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করে আসছেন। এছাড়া সালিশ বৈঠকের স্বাক্ষর দিয়ে ভুয়া কাগজ তৈরী করে তার পরিবারের কাছে সাত লাখ টাকা দাবী করেন। চম্পা আরো জানান, সালমা তার স্বামীর সাথে খারাপ ছবি তুলে পরবর্তীতে ব্লাক মেইল করে ১০-১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তাছাড়া সালমা বোনের সাথে মারামারি করে জখম হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দেন এবং ওই মামলায় তার বৃদ্ধ শ^শুর হাজতবাস করেন। এমনকি সালমার অনেক অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় থানার ওসি সহ তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও তিনি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের হয়রানী করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে চম্পা বেগমের বৃদ্ধ শ^শুর কৃষক আলকাজ উদ্দিন ও তার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র মোঃ হাসান উপস্থিত ছিলেন। এব্যপারে অভিযুক্ত সালমা আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মঠবাড়িয়ায় তরুণীর মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব কৃষক পরিবার

Leave a comment