
শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়ারখালী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। হাসাপাতালটি বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। জানাগেছে, গুলিশাখালী ইউনিয়নের টিয়ারখালী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স দিয়ে ২০২১ সালে চালু করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী এবং মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলহাজ¦ ডাঃ আলী হাসান। চালু করার ২ বছর সেখানে নিয়মিত একজন চিকিৎসক বসলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর সেখানে আর কোন চিকিৎসক বসেন নি। চিকিৎসা সেবা থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র সরকারী ওষুধ বিতরণ করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০ শয্যার ওই হাসপাতালে ডেপুটেশনে একজন নার্স দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের কোয়ার্টারেই থাকেন তিনি। পার্শ্ববর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাইড লাইন (অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ) নিলেও বর্তমানে তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালটি প্রশাসনিকভাবে অনুমোদন পেলেও জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে জনবল নিয়োগের কোন সুপারিশ না পাওয়ায় হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। জনবল নিয়োগ না থাকায় বিদ্যুৎ বিল সহ হাসপাতালটির কোন ধরনের ব্যয় আপাতত বহন করছে না সরকার। স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে একজন নার্স ওষুধ বিতরন করার সময় শুধুমাত্র একটি লাইট বা একটি ফ্যান ব্যবহার করে। কিন্তু সেখানে মাসে ১০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল হয় কি ভাবে? এটা রহস্যজনক। হাসপাতালের নির্মান কাজ চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন তা বকেয়া থাকতে পারে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান কাজ চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সাইড লাইন (অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ) নিতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম জানান, হাসপাতালটি এখনও সরকারীভাবে চালু না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া দৈনিক ২/৩ ঘন্টার জন্য একটি বাতি বা বৈদ্যুতিক পাখা চালালে প্রতি মাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল হওয়ার কথা নয়। তারপরও উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বিলটি পরিশোধের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পল্লী বিদ্যুৎ মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার মোতালেব হাওলাদার জানান, বিল পরিশোধের জন্য বারবার নোটিশ দেওয়া স্বত্বেও তারা বিল পরিশোধ করেনি। বিল পরিশোধ করলে পুনরায় হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।