মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোর-৫ মনিরামপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় নৌকা প্রতীকের আট কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার মনিরামপুর থানায় এ মামলাটি করেন ঈগল প্রতীকের আহত কর্মী তরিকুল ইসলামের ভাই ফরিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে নৌকা প্রতীকের কর্মী নুরুজ্জামান, বাবলা ও আকাশকে আটক করেছে। শুক্রবার রাতে ঈগলের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় এখনও এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এলাকায় শান্তিপূর্ন অবস্থান বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ঝাপা উত্তরপাড়া মসজিদের পাশে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর ঈগল প্রতিকের নির্বাচনী অফিসে অবস্থান করছিলেন কর্মী সমর্থকরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাসছুল হক মন্টু জানান, রাত নয়টার দিকে নৌকার সমর্থক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০/১২ জন যুবক এসে লাটিসেটা লোহার রড নিয়ে আচমকা ঈগলের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তাদের মারপিটে তরিকুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, আবদুস সালাম, মাদার আলী, মাহাবুবুর রহমান, আনিচুর রহমান, টুটুল, আতিয়ারসহ অন্তত: ১৫ জন আহত হয়। পরে ঈগলের কর্মী সমর্থকরা ধেয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে তরিকুলের মাথা ফেটে যাওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঝাপা বাজারে ঈগল এবং নৌকার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঈগলের নিবাচনী অফিসে হামলা ও মারপিটের প্রতিবাদে ওই রাতেই রাজগঞ্জ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টুর নেতৃত্বে ঈগলের হাজারো কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় গোটা বাজারে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১০ টার দিকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে নৌকার সমর্থক সিরাজুল ইসলাম ঈগলের অফিসে হামলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সহকারি রিটার্নিং অফিসার জাকির হোসেন জানান, গোটা পরিস্থিতি এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, আহত তরিকুল ইসলামের ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদি হয়ে নৌকা প্রতীকের আট কর্মীর নামে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামি আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য মনিরামপুরে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও মূলত: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য নৌকা এবং জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি এস এম ইয়াকুব আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা চলছে।