মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত হয়ে প্রায় একযুগ চাকরির পর তিন শিক্ষকের সার্টিফিকেট জাল সনাক্ত হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ(এনটিআরসিএ) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই তিন শিক্ষকের সার্টিফিকেট জাল সনাক্ত হওয়ায় তাদেরকে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও এমপিওভুক্তির পর থেকে গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত উত্তোলনকৃত ১৯ লাখ দুই হাজার ৫৮৫ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা শাখার সহকারি সচিব সেলিম সিকদার গত ১৮ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। বিষয়টি বুধবার প্রকাশ হয়।
সনাক্ত জাল সার্টিফিকেটধারী তিন শিক্ষক হলেন মনিরামপুর উপজেলার গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক(হিন্দু ধর্ম) অপর্না মন্ডল, সহকারি শিক্ষক(কম্পিউটার) কাজল কুমার পাল ও ঝাপা উত্তরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক(ইংরেজি) ইলিয়াস কাঞ্চন। এর মধ্যে অপর্না মন্ডলের হিন্দু ধর্মিয় সার্টিফিকেট, কাজল কুমার পালের কম্পিউটার সার্টিফিকেট এবং ইলিয়াস কাঞ্চলের শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট জাল সনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানাযায়, অপর্না মন্ডল ২০১১ সালে, কাজল পাল ২০১৩ সালে এবং ইলিয়াস কাঞ্চন ২০১০ সালে এমপিওভূক্ত হয়ে সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। চাকুরির শুরুতেই তাদের বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ(এনটিআরসিএ) সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষকের সার্টিফিকেট পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জাল সনাক্ত করে ১৮ মে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। আর এ বিষয়টি গতকাল বুধবার প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসিম রায় জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এখনও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন পত্র পাননি। জাল সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষক কাজল কুমার পাল জানান, তার কম্পিউটারের সার্টিফিকেটটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রেজাউল করিম নামে একজন প্রধান শিক্ষক তাকে সরবরাহ করেছিলেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পালন করা হবে।