জন্মভূমি ডেস্ক : গত মাসে অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে, বাণিজ্যের উন্নতি ও চলমান শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ ব্যয় মালেশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন, পণ্যমূল্যের ওঠানামা ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য মন্দার ঝুঁকি প্রবৃদ্ধির গতি বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এতে মালয়েশিয়ার রফতানি চাহিদা কমতে পারে। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দেশটির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
এমআইডিএফ পূর্বাভাস করছে, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বছরওয়ারি হিসেবে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা তৃতীয় প্রান্তিকের ৩ দশমিক ৩ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি।
যদিও ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিমিত ছিল। তবে বিদ্যমান সূচকগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতি আগামীতে আরো সম্প্রসারণ হবে। মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরে ব্যয়ও ক্রমাগত বাড়ছে। আশা করা হচ্ছে, মালয়েশিয়ার বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা কিছুটা পুনরুদ্ধার হবে।
সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ ব্যয়ে স্থিতিশীল বৃদ্ধি ও বাহ্যিক চাহিদার পুনরুদ্ধার ঘটলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত মাত্রা লাভ করবে।
২০২৩ সালের পুরো বছরের জন্য মালয়েশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে কমেছে। বাণিজ্য ও উৎপাদন সংকটের কারণে এমআইডিএফের পূর্বাভাসের সঙ্গে মেলেনি। তবে সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।