জন্মভূমি ডেস্ক : চলতি মাসের শেষে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আপিল করবেন ৬ মাস সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার শ্রম আদালতে সাজা দেয়া তার রায়ের কপি আসে গনমাধ্যমের এর হাতে। যেখানে তাকে সাজা দেয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় সন্তুষ্ট করতে পারেননি ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার খণ্ডিত করে দিয়েছেন বিচারক।
ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বছরের প্রথম দিনই ৬ মাসের জেল দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। শর্ত ছিল ১ মাসের মধ্যে আপিল করবেন তিনি। ৮৬ পাতার সেই রায় প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার। যার কপি এসেছে গণমাধ্যমের হাতে।
রায়ে পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করাসহ অন্যান্য অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে পুরো রায় পড়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, ন্যায়বিচারকে খণ্ডিত করেছেন বিচারক। যদিও এর সঙ্গে একমত নন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাদী বলেছেন; এই ধরনের কোনো দাবি মামলার আর্জিতে করা হয়নি। অথচ ড. ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে। এতে ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এটি শ্রম আদালতের যুগান্তকারী রায়, যা ভবিষ্যতে নজির হয়ে থাকবে। ড. ইউনূসের আপিল করার সুযোগ আছে। তিনি তা করবেন। তবে আমরা সেটার বিরোধিতা করবো।
রায়ে ড. ইউনূসকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বললেন, এই সিদ্ধান্তও আইনের বাইরে গিয়ে নিয়েছেন বিচারক। ড. ইউনূসের আপিলের আইনগত সময় ৬০ দিন। অথচ তাকে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছেন বিচারক। এসময়ের মধ্যে আপিল করতে বলা হয়েছে, যা আইনে নেই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. ইউনূসের আপিলের সময়সীমা ৬০ দিন। কিন্তু তাকে ৩০ দিনের জামিন দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি থাকলে সেদিন তিনি বলেননি কেন?
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জানুয়ারি মাসের শেষেই তারা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করবেন। তিনি বলেন, আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করবো। পরে আপিল প্রস্তুত করবো। এক্ষেত্রে সময় লাগবে। তবে দ্রুত সেটা করার চেষ্টা করছি আমরা।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিলের পর এখানেই পরবর্তীতে বিচার হবে ড. ইউনূসের। তবে জামিন হওয়ার পর এ কোর্টে হাজির হওয়ার আর কোনো বিধান নেই।