জন্মভূমি ডেস্ক : ‘শীত খুব অতিরিক্ত পড়ছে দুইদিন থিকা। শীতের মইদ্দে কাজকাম কম। প্যাসেঞ্জার কম, তাই আয়ও কম, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে’, বলছিলেন চুয়াডাঙ্গার ভ্যানচালক ফরজ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে এই জেলাটিতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
কয়েকটি জেলা বাদে কোথাও শৈত্যপ্রবাহ না চললেও প্রচণ্ড শীতে ঢাকাসহ সারাদেশেই জনজীবন পর্যুদস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পুরো জানুয়ারি জুড়েই শীতের প্রকোপ থাকবে।
আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও আগামী তিনদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সময় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা দুপুর পর্যন্তও থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে শুক্রবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
পুরো জানুয়ারি মাস জুড়েই শীতের অনুভূতি থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারির দিকে দেশ জুড়ে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস করা হয়েছে।
এই বৃষ্টিপাত থেমে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ২০ তারিখের পরে মৃদু বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আবার শুরু হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মল্লিক।
শুক্রবার বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা গেছে, রংপুর, দিনাজপুর, তেতুলিয়ার মতো উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপমাত্রার পার্থক্য পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম।
এছাড়া ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলেও তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম।
বেশিরভাগ জেলাতেই সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়াতে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বলে জানান আহাওয়াবিদ মল্লিক। আপাতভাবে কিশোরগঞ্জ, ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাই কেবল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আছে। তবে শীতের তীব্রতা সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে।
শীতের তীব্রতার আরেকটি কারণ কুয়াশা। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন থেকে অতিঘন কুয়াশা থাকে।
রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের মতো অঞ্চলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই কুয়াশা বিকেল পর্যন্তও থাকে। সূত্র: বিবিসি বাংলা