জন্মভূমি ডেস্ক : মিয়ানমারে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাসহ বেশ কিছু এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৫ ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
রোববার (২ জুন) বেলা পৌনে তিনটার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, মিয়ানমারে ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করেছে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাতেও।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইনের মাওলাইক থেকে ৯২.৬ কিলোমিটার দক্ষিণে, ভারতের মিজোরামের শিহা থেকে ১৬৮.৫ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ-পূর্বে এবং ঢাকা থেকে ৪৪২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০৭.২ কিলোমিটার গভীরে।
তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৯ মে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৪।
এছাড়া এ বছর আরও অন্তত ৩টি ভূমিকম্প অনুভূত হয় বাংলাদেশে।
গত ২৮ এপ্রিল (রোববার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল ছিল পাবনা জেলার আটঘরিয়া।