জন্মভূমি রিপোর্ট : মিষ্টি আলু একটি অবহেলিত ফসল। চাষ লাভ জনক। খরচ কম। মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ, খাদ্যমান, বাজারদর, সবজি এবং গোখাদ্য হিসেবে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। মিষ্টি আলুর গাছ একটি লতানো। গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প থেকে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলায় ২০জন কৃষক এক বিঘা করে ২০টি প্রদর্শনী প্লট করেছে। এই প্রকল্প থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, কীট নাশক ও গাছ সরবরাহ করা হয়েছে। অক্টোবর মাসে রোপণ করা হয়েছে এবং এখন ফসল উত্তোলন চলছে। গ্রীষ্ম প্রধান জলবায়ুতে এটি দীর্ঘজীবী, একবার লাগালে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। রবি মৌসুমে মিষ্টি আলু চাষ লাভজনক। খরিফ মৌসুমে সবজি, শাক, গোখাদ্য হিসেবে চাষ করা লাভজনক। বিভিন্ন অঞ্চলে নানা জাতের মিষ্টি আলুর চাষ হয়। স্থানীয় জাতের চেয়ে উন্নত জাতের ফলন অনেক বেশি। তৃপ্তি ও কমলা সুন্দরী জাত দুইটি উচ্চফলনশীল। যার ফলন প্রতি বিঘায় ৩০-৪০মেট্রিক টন। সারা দিন সূর্যের আলো পড়ে এরকম দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি মিষ্টি আলু চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। নদীর তীরের পলি মাটিতে এ আলু সবচেয়ে ভালো হয়। রোপণের সময় আবহাওয়া শুকনো হলে কয়েকটি পাতা ছাঁটাই করে দিতে হবে। রস না থাকলে চারার গোড়ায় পানি দিতে হবে। মিষ্টি আলু হচ্ছে খরা প্রতিরোধ সম্পন্ন ফসল। তাই সাধারণত সেচের কম। প্রয়োজনে সেচ দেয়া যেতে পারে। মিষ্টি আলুর ক্ষেত লতা দিয়ে পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের কৃষক মো. শহিদুল ইসলাম ও কলারোয়া উপজেলার গ্রামের সোনাবাড়িয়া গ্রামের নুর উদ্দিন গাইন বলেন, এই প্রকল্প থেকে সব কিছু বিনা মূলে পেয়েছি। তাদের পরামর্শ কাজে লাগিয়ে মিষ্টি আলু চাষ করায় অর্থ নৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে। ফলন বাম্পার হয়েছে।
প্রকল্প কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানব সম্পাদে পরিণত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করায় উৎপাদন ভালো হয়েছে।