জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতে একটি স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীকে সহপাঠীদের দিয়ে চড় মারার নির্দেশ দেওয়া সেই শিক্ষিকা তাঁর আচরণের জন্য লজ্জিত নন। তিনি বলেন, তাঁরা আইন বানিয়েছেন। তবে স্কুলে শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তাঁরা এভাবেই শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করেন। ওই শিক্ষক আরও বলেন, ‘আমি এই গ্রামের শিক্ষক। সবাই আমার সঙ্গে রয়েছে।’
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিশু এক পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর শিক্ষিকা তৃপ্তি অন্য শিশুদের একে একে উঠে এসে ওই শিশুকে চড় মারতে নির্দেশ দিচ্ছেন। ক্যামেরার পেছনে থাকা একজনের উদ্দেশ্যে তৃপ্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো বলেই দিয়েছি, যত মুসলিম বাচ্চা আছে, তোমরা এখান থেকে চলে যাও।’
তৃপ্তি ত্যাগীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে তৃপ্তি ত্যাগী বলছেন, সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি এমন নির্দেশ দেননি। ওই মুসলিম শিক্ষার্থী স্কুলে বাড়ির কাজ না করে নিয়ে আসায় তাকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় তৃপ্তি ত্যাগীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ (এফআইআর) করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তৃপ্তি ত্যাগী শনিবার বলেন, এটি সামান্য একটি ঘটনা, কিন্তু এটিকে ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে বড় করা হয়েছে। পুরো বিষয়কে সাম্প্রদায়িক ঘটনার রূপ দিতে ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়েছে। ওই শিশুর চাচাতো ভাই ওই শ্রেণিকক্ষে ছিল। সে ওই ভিডিও করেছে। পরে তা বিকৃত করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনা সমালোচনা চলছে।