জন্মভূমি ডেস্ক : ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তবে, এই কোটায় নির্বাচিত ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু প্রমাণসহ উপস্থিত হননি। ধারণা করা হচ্ছে— এই শিক্ষার্থীদের কাছে যৌক্তিক প্রমাণ নেই।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) সন্তান কোটায় আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় প্রমাণ সহ উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। তবে, ৪৯ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়নি। তাদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হলে তারা কোটার দাবিদার হিসেবে গণ্য হবে না। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১,৩৫,৬৬৫ জন আবেদন করেছিলেন, এর মধ্যে ১,৩১,৭২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। ১৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৮৬ জন আবেদনকারী ছিল, এর মধ্যে ১৯৩ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য বরাদ্দ আসন ছিল ২৬৯টি, যা পাঁচ শতাংশ। পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য ৯৪৬ জনের মধ্যে ২৮২ জন পাস করেছেন, তাদের জন্য ৩১টি আসন বরাদ্দ। সমতলের উপজাতি কোটায় ২৫৫ জনের মধ্যে ৬৬ জন পাস করেছেন, তাদের জন্য ৮টি আসন বরাদ্দ ছিল।
গত ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেয়, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ থাকবে, আর ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জন্য এক শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটা থাকবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত বছরের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ২০২৫ সালের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে। ৯.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
এছাড়া, ১৭ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ১,২৫,২৬১ জন, তবে পরীক্ষায় অংশ নেন ১,৩১,৭২৯ জন। মোট ৬০,০৯৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার পাসের হার ছিল ৪৫.৬২ শতাংশ, যেখানে ৩৬.৮৭ শতাংশ ছেলে এবং ৬৩.১৩ শতাংশ মেয়ে পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।