
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বার্সেলোনার হয়ে ১৭টা বছর টানা খেলেছেন মেসি। ৭৭৮টা ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা। এখনও ক্লাবের সমর্থকরা ভুলতে পারেনি তাঁকে। প্যারিস সাঁজা ঘুরে এখন ইন্টার মিয়ামিতে খেলছেন মেসি। এই মেসির ফুটবল বিশ্বে যাত্রা শুরু হয়েছিল কাতালান ২০০০ সালে। যেখানে এক টুকরো ন্যাপকিন কাগজে চুক্তি করেন লা পুলগা।
বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির সেই বিখ্যাত ন্যাপকিন পেপার নিলামে তুলেছিল ব্রিটিশ অকশন হাউজ বোনহামস। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, সেটি বিক্রি হয়েছে উচ্চমূল্যে। নিলামে সেটি ৭ লাখ ৬২ হাজার ৪০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ বাংলাদেশি মূদ্রায় ১১ কোটি ৩৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার কিছু বেশি।
চুক্তির সেই ‘স্ট্যান্ডার্ড স্প্যানিশ ওয়াক্সি ন্যাপকিন’টির নিলামে প্রাথমিক মূল্য ছিল ৩ লক্ষ পাউন্ড। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে এটি ১৬.৫ সেমি। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে নীল কালিতে ন্যাপকিনটির ওপরে মেসিকে ভেড়ানোর ব্যাপারে স্বাক্ষর করেন বার্সেলোনার তখনকার পরিচালক কার্লেস রেক্সাচ।
ন্যাপকিন পেপারে সই ছিল স্প্যানিশ ক্লাবের দলবদল উপদেষ্টা হোসে মারিয়া মিনগেলা ও এজেন্ট হোরাসিও গাজ্জোলির। তবে ন্যাপকিন পেপারটি গাজ্জোলির সম্পত্তি হিসেবেই অনলাইন নিলামে তোলে লন্ডনভিত্তিক বোনহ্যামস প্রতিষ্ঠান।
সেই চুক্তির মাসখানেক পরেই বার্সেলোনায় যোগ দেন মেসি। এরপর কাতালান ক্লাবটির হয়ে যা করেছেন সেটি তো ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরেই খেলা থাকবে। কাতালান ক্লাবটির সিনিয়র দলের হয়ে ১৬ বছর বয়সে অভিষেকের পর ২০২১ সালে বিদায়ের আগ পর্যন্ত ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল করেন মেসি।
দুই দশকের ক্যারিয়ারে ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন মেসি। ২০২১ সালে অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বার্সেলোনা ছাড়তে হয় তাকে। এরপর ফরাসি ক্লাব পিএসজি হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলেন তিনি।
এই নিলাম হওয়ার কথা ছিল আরও মাস দুয়েক আগে, গত মার্চে। তবে মালিকানা নিয়ে গাজ্জোলি ও মিনগেলার সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। চুক্তির পর অবশ্য ন্যাপকিন পেপারটি গাজ্জোলির মালিকানাধীন হিসেবে অ্যান্ডোরার একটি ভোল্টে সুরক্ষিত ছিল।