জন্মভূমি ডেস্ক : মোংলা বন্দরে প্রথমবার সফলভাবে ৮ (আট) মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ধন্যবাদ জানিয়েছে। মোংলা বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর ক্ষেত্রে এটা একটা রেকর্ড।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের আরএডিপিভূক্ত জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে এ ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, মোংলা বন্দরের চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম প্রায় সমাপ্তির পথে, কিছু কাজ বাকি রয়েছে। চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরে ৮ (আট) মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। পরবর্তিতে ৮ দশমিক ৫ মিটার এবং আগামী বছর ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর লক্ষ্যে ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মঞ্জয় কুমার বণিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল (অনলাইনে), পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক (অনলাইনে), মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ অন্যান্য সংস্থা প্রধানগণ সরাসরি ও অনলাইনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়ন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এর ফলে মোংলা বন্দর থেকে নৌপথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারী মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এ পর্যন্ত ৬৫টি জাহাজ মোংলা থেকে সহজেই আসতে পেরেছে। এজন্য বিআইডব্লিউটিএ-কেও ধন্যবাদ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আরএডিপিভূক্ত ৩৪টি, নিজস্ব অর্থায়নে চারটি এবং স্কিমের আওতায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪,৬৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।