মিজানুর রহমান ,মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পুটিখালী ইউনিয়নর ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাসুদ আলমের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, কার্ড নবায়ন, মাতত্বকালিন ভাতা,ও ঘর দেওয়ার নাম করে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযােগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রিববার বেলা ১১টায় ভূক্তভুগীরা ঝাঁড়ু মিছিল ও জুতা নিয় ঘন্টাব্যাপি বিক্ষােভ করছেন। তারা দুর্নীতিবাজ মেম্বারকে অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
এবিষয়ে ভূক্তভাগীরা অভিযোগ করে জানান, পুটিখালী গ্রামের বখতিয়ার হাওলাদারর স্ত্রী হিরা আক্তারের মাতৃত্বকালিন ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার, হাফিজুল মােল্লার মৎস্যজীবী কার্ড নবায়ন বাবদ তার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা, নাছির গাজী ৪ হাজার, সিদ্দিক শেখের সাড়ে ৪ হাজার, আলতাফ খানের ৮ হাজার, আঃ রব মােল্লার ৮ হাজার, সাইদুল মােল্লার ৫ হাজার,টাকা নেয়। শুকুর মল্লিকের কাছে মেম্বর মাসুদ ৫ হাজার টাকা দাবি করে না পেয়ে তালিকা থেকে তার নাম কর্তন করে। এছাড়াও কলেজ শিক্ষার্থী মাসুদ রানা মল্লিকের কাছ থেকে হয়রানি মূলক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশারের নিকট থেক পারিবারিক একটি মামলায় হয়রানি করে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ছে।
এ সব ভূক্তভাগী পরিবাররা টাকা দিয়ও ২/১ মাস চাল পেলেও পরবর্তীতে তালিকা থেকে তাদের নাম কর্তন করে দিয়ছে বলে অভিযােগ উঠেছে।৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাসুদ আলম হাওলাদার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের নিকট থেকে সরকারের সামাজিক বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত সুবিধাভাগীদর কাছ থেকে নানা কৌশলে বিভিন্ন সময়ে মােটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই গ্রামর মাকছুদ হাওলাদারের কাছ থেকে ২ বছর পূর্বে ২৫ হাজার টাকা নিয়ছে। ঘর না পেয়ই কিছুদিন পূর্বে মত্যু হয়েছে তার। তার স্ত্রী জাবেদা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ঘরও পালাম না, টাকাও পালামনা। মেম্বারের নিকট টাকা চাইতে গেলে চোঁখ রাঙ্গানি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ রকম ১৫/২০ জনর নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মেম্বর মাসুদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভুক্তভুগিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিলে পর্যায়ক্রমে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ৭২ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফিরত দিতে তাল বাহানা করছেন।
এ সর্ম্পকে উপজেলা মৎস্য অফিসার বিনয় কুমার রায় বলেন, মৎস্যজীবিদের তালিকা নবায়ন করার কােন নির্দশনা নেই অফিস থেকে। যদি মেম্বার রেনু করার কথা বেল অর্থ হাতিয়ে নিয় থাকে। অভিযােগ পেলে তদান্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয় পুটিখালী ইউনিয়নর ইউপি সদস্য মাসুদ আলম হাওলাদার তার বিরুদ্ধ আনিত অভিযাগ অস্বিকার করে বলেন, মৎস্যজীবি তালিকায় পরিষদ থেকে নাম দেওয়ার সুযোগ নেই। অফিস থেকে তালিকা করা হয়। ঘরের বিষয়টি ৫ জনর অভিযাগ ইউএনও স্যারের দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি করা হয়ছে। পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।