যশোর প্রতিনিধি : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় যবিপ্রবি থেকে বরখাস্ত এক শিক্ষক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দুদক জেলা কার্যালয় যশোরের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সোমবার (৩ মার্চ) মামলাটি করেন। অভিযুক্তরা হলেন, যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার,সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. আনোয়ার হোসেন, যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড.মো. ইকবাল কবির জাহিদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগম। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,ইকবাল কবির জাহিদকে অবৈধভাবে যবিপ্রবিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদান ও গ্রহণ।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়,ইকবাল কবির জাহিদ ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তাকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর ড.মো.আব্দুস সাত্তার।
দুদকের মামলার বাদী জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,২০০৯ সালের ওই নিয়োগ বোর্ডে প্রফেসর ড.মো.আনোয়ার হোসেন এবং প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগম এক্সপার্ট মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারা পরস্পর যোগসাজসে ইকবাল কবির জাহিদকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করেছিলেন। ২০২২ সালে দুদক এই অভিযোগটি আমলে নেয়। তদন্ত শেষে সোমবার এই বিষয়ে মামলা করা হয়েছে।
ড. ইকবাল কবির জাহিদ ২০১৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি তখনকার ফ্যাসিস্ট সরকারঘনিষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে বহুল আলোচিত ছিলেন। ২০২১ সালের ২৯ জুন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের (যারা নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীথ বলতে পছন্দ করতেন) আহ্বায়ক মনোনীত হন। এছাড়া তিনি নীল দলের প্যানেল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইকবাল কবির জাহিদকে আর দেখা যায়নি। পরে ড.জাহিদসহ দুই শিক্ষক ও দুই কর্মকর্তার দুনর্ীতি অনুসন্ধানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ১০৪তম সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে বরখাস্ত করা হয় ইকবাল কবির জাহিদকে।
দুদকের মামলার ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও ড. ইকবাল কবির জাহিদ সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ বলেন, দুদকের মামলার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
যবিপ্রবির সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Leave a comment