যশোর অফিস : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনের ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কোনো আসনের নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সংসদ নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেয়া জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, যশোর-১ (শার্শা) আসনে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৬ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ওই সংখ্যক ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ১৬ হাজার ১২৪ দশমিক ৫। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান ২১৫১ ভোট পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৭ জন। ওই সংখ্যক ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ২৪ হাজার ২৪৯। এক্ষেত্রে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমান ২২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের আব্দুল আউয়াল ১২৪৫, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ফিরোজ শাহ ১৯৫০ ও টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) শামছুল হক ১২০০ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।
যশোর-৩ (সদর) আসনে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৪৬৫ জন। এর ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট ২৫ হাজার ৫৮। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান ১২৪৬, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের কামরুজ্জামান ৩৮৯, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কুলা প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হাসান কাজল ৫৫৫, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মাহবুব আলম ৩৭১০, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী শেখ নুরুজ্জামান ২২৪ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী সুমন কুমার রায় ৬৬৩ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-বসুন্দিয়া) আসনে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৩৩০ জন। এর ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট ২৫ হাজার ৬৬৬। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোনালী আঁশ প্রতীকের এম শাব্বির আহমেদ ১৫৯৮, মিনার প্রতীকের প্রার্থী ইসলামি ঐক্যজোটের ইউনুছ আলী ৩৮৯৫, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির জহুরুল হক ৯৪৪২, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায় ৫৫২ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মন্ডল (৪০১) ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে ভোট দিয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০২ জন। এর আট ভাগের এক ভাগ ভোট ১৯ হাজার ৩৬২। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এ হালিম ৬২৪, ইসলামি ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী ৮০৬ ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা ২৩৬ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩১৭ জন। এর আট ভাগের এক ভাগ ভোট ১৩ হাজার ৫৩৯। এর চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের জিএম হাসানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি ৬৪০টি ভোট পেয়েছেন।