যশোর অফিস : যশোরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে তানভীর ইসলাম নাবীর (১৯ ) কে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলাটি করেন,সদর উপজেলর বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা খাতুন। মামলায় আসামী করা হয় বালিয়াডাঙ্গা মালোপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন, একই এলাকার মৃত কায়েম এর ছেলে এখতিয়ার রহমান ওরফে ডাকু ও আব্দুর রহিমের ছেলে সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বেড়ায় এব তাদের স্বভাব চরিত্র ভালনা। বাদির ছেলে তানভীর ইসলাম নাবীর আলহেরা ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। গত ৩ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৯ টায় বালিয়াডাঙ্গা মালোপাড়া নদীর পাড়ে ফাঁকা মাঠে শর্টপিস ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বাদির ছেলের সাথে উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের তর্ক বির্তক হয়। তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে বাদির ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। উক্ত ঘটনার জের ধরে রোববার ৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টায় বালিয়াডাঙ্গা মালোপাড়া নদীর পাড়ে ফাঁকা মাঠে বাদির ছেলে শর্টপিস ক্রিকেট খেলার জন্য পৌছানো মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনের হুকুমে সকল আসামীরা বাদির ছেলেকে এলোপাতাড়ী কিল,ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ইয়াসিন ধারালো চাকু দিয়ে বাদির ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম করে। এখতিয়ার রহমান ডাকু ও সাব্বির ছুরি দিয়ে জখম করে। বাদির ছেলে প্রাণের বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত গুরুতর জখম অবস্থায় তানভীরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।