যশোর অফিস
যশোরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রুজু করা মামলায় আজিজুল হক সবুজ (৫০) নামে পুলিশের এক এসআইকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। গত রোববার গভীর রাতে শহরের বারান্দীপাড়ার হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বারান্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আসামীর সাবেক স্ত্রী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। আসামি আজিজুল হক সবুজ পুলিশের এসআই পদে কর্মরত। তিনি ঢাকা এপিবিএন থেকে পুলিশের খুলনা রেঞ্জে বদলি হয়েছেন।
আজিজুল হক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সুরুরিয়া গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে। তিনি বর্তমানে যশোর সদরের রঘুরামপুরে বসবাস করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আজিজুল হক সবুজের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়। আজিজুলের আগেও তিনটি বিয়ে ছিল। চাকরির সুবাদে আজিজ কর্মস্থলে থাকতেন। মাঝে মাঝে যশোরে বাদীর বসতবাড়িতে আসতেন এবং তারা অন্য দম্পতিদের মতো বসবাস করতেন।
বাদী মামলায় আরো উল্লেখ করেন, ‘আজিজুল ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরায় লাবনী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। ২০২১ সালের ফেব্রæয়ারি মাসের ২৩ তারিখে আমাকে তালাক দেয়। গত ২৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত একটার দিকে আজিজ আমার ঘরের দরজা নক করে। আমি দরজা খোলামাত্র সে ঘরের ভেতর ঢুকেই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় সে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। আজিজ ওয়াশরুমে ঢুকলে আমি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিই। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। ’
কোতয়ালী থানার ওসি মো: তাজুল ইসলাম বলেন, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের এসআই আজিজুল হক সবুজ শারীরিক সম্পর্ক করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক হলে সেটা আইনানুযায়ী ধর্ষণ বলে গণ্য হয়। ’
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘ভোররাতে হটলাইন ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে আমরা দুইজনকে থানায় নিয়ে আসি। কিন্তু মামলার বাদি মামলা করতে রাজি ছিল না। আপস করে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ আপসযোগ্য না। সেই কারণে মামলা রুজু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, জেসমিনেরও আগে তিনবার বিয়ে হয়। একজন রড ব্যবসায়ীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।