যশোর অফিস : মেয়েকে নির্যাতন করে আটক রাখার খবর শুনে উদ্ধার করতে যেয়ে পিতার উপর হামলার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত নুর মােহম্মদের ছেলে কামাল হোসেন (৩৭) বৃহস্পতিবার মামলা করেন। মামলায় মেয়ের স্বামী, দেবর ও শ^াশুড়িকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো সদরের হুদোরাজাপুর গ্রামের মৃত মোকাম হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন (২৫) ভাই রাকিব হোসেন (৩০) ও মোকামের স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৫৫)।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামি পলাশের সাথে ৫ বছর আগে আমার মেয়ে মুসলিমা বেগমের (২৩) বিয়ে হয়। বিবাহের পর তার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান সিয়াম হোসেন (৩) জন্ম গ্রহন করে। বিয়ের পর থেকেই আসামি পলাশ আমার মেয়েকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। আমার মেয়ে তার পুত্র সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করিয়া আসামির সাথে ঘর সংসার করতে থাকে। ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত্র অনুমান ৯টায় আমার মেয়ে আসামিদের বাড়ি থাকাকালীন সময়ে পারিবারিক বিষয় নিয়ে অন্য আসামিরা আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। আমার মেয়ের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা আমার মেয়েকে অবৈধ আটকে রাখে। বিষয়টি আমি মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ইমরান হোসেন (২৮), রিতু বেগম (২১), সুমন হোসেন (২৪) ৬ ডিসেম্বর বেলা অনুমান সাড়ে ১২টায় যশোর হুদো রাজাপুর গ্রামে আসামিদের বাড়িতে যেয়ে আমার মেয়েকে আহত অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চাহিলে আসামিদের সাথে আলোচনা করি। আলোচনার একপর্যায়ে আসামিরা অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমাকে, ইমরান হোসেন, রিতু বেগম ও সুমন হোসেনকে মারপিট শুরু জখম করে। আসামি পলাশ হত্যার উদ্দেশ্যে ঘর ধারালো দা এনে আমার মাথায় কোপ মারতে গেলে বাম হাত দিয়ে ঠেকায়। এতে আমার বাম হাতের মধ্য আঙ্গল কেটে যায়। তখন ইমরান হোসেন ঠেকাইতে গেলে ৩নং আসামি বুলবুলি বেগম তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথ আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমাদেরকে উদ্ধার করিয়া বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।