যশোর অফিস : যশোর শহরের খড়কী ধোপাপাড়া লরেন্স রায়ের বাড়ির ভাড়াটিয়া সৎ মা কর্তৃক শিশু আয়েশা খাতুন (২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গত সোমবার দিনগত রাতে মামলাটি করেন কোতয়ালি থানার এসআই জয়ন্ত সরকার। মামলায় আসামি করেন শিশু আয়েশা খাতুনের সৎ মা পারভীন সুলতানা (২৬)। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার নুরনগর গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে যশোর শহরের খড়কী ধোপাপাড়ার লরেন্স রায়ের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে ওয়াসকুরুনী ওরফে পিন্টুর স্ত্রী। পুলিশ পারভীন খাতুনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞামসাবাদ করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৩ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় শিশু আয়েশা খাতুনকে তার সৎ মা পারভীন সুলতানা আয়েশা খাতুনের ভাইকে খেলার কথা বলে বাইরে যেতে বলে। এ সুযোগে আয়েশা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার চুল ধরে দেয়ালের সাথে আঘাত করে। এতে শিশু আয়েশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। আয়েশা খাতুনকে হত্যার মোটিভ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করলে পারভীন সুলতানা নানা কৌশল করে। আয়েশা খাতুনের পিতা ওয়াসকুরুনী ওরফে পিন্টু ঘটনার দিন সকালে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতে বাড়ি হতে বের হয়। আয়েশা মানষিক প্রতিবন্দ্বী হওয়ায় পারভীণ সুলতানা তার ভরন পোষনের দায়িত্ব নিয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে আয়েশা খাতুনের পিতার চাপের মুখে গত ৫ মাস পূর্বে নিতে বাধ্য হয়। আয়েশা খাতুনের মা জান্নাতুল মেয়ে আয়শা খাতুন ও তার ভাইকে ওয়াসকুরনীর কাছে রেখে যায়। ঢাকায় কাজের সুবাধে আয়েশা খাতুনের পিতা ওয়াসকুরুনী ওরফে পিন্টুর সাথে পারভীন সুলতানার সম্পর্কের এক পর্যায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর পিন্টু আয়েশা খাতুনের মায়ের কাছে আসা যাওয়া করতো। পরে তাদের মধ্যে মনোমানিল্য হলে ছেলে মেয়েকে তাদের পিতার কাছে রেখে যান জান্নাতুল।