যশোর অফিস : যশোরে পৃথক সোনা চোরাচালান ও অস্ত্র মামলায় দুই আসামির পৃথক মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে আদালত। মঙ্গলবার পৃথক দুই আদালত ওই দুই আসামির সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন,বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মোমিন চৌধুরী ও বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের শফি মোড়লের ছেলে মেহের আলী।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর বিকেলে বিজিবি সদস্যরা খবর পান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তিসাদিপুর বেলতলা এলাকা দিয়ে যাবে। তাৎক্ষনিক একটি টহল টিম বেলতলায় অবস্থান নেয়। কিছু সময় পর সন্ধার পর মোমিন চৌধুরীকে একটি বাইসাইকেলে আসতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের। এসময় বিজিবি সদস্যদেখে মোমিন সাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।পরে তার কাছথেকে ৪৯ পিছ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার দাম দুইকোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোল ৪৯/সি কোম্পানী আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের হাওলাদার নায়েক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন মোমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। মঙ্গলবার রায় ঘোষনার দিনে বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম মোমিনকে আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া পৃথক আরেকটি মামলা সূত্রে যানাযায়, ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যশোরের ডিবি পুলিশের কাছে খবর আসে মেহের আলি নিজ এলাকায় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন। বিকেল চারটায় তারা সেখানে অভিযান চালিয়ে মেহেরকে আটক করে। পরে মেহের স্বীকারোক্তিতে তারই ঘর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় ডিবির এসআই ইউনুস আলী মেহের আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের পৃথক দুইটি ধারায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিবির এসআই আবুল খায়েল মোল্লা আদালতে মেহের আলীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। বুধরার মামলার রায়ঘোষনার দিনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এ এফ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারায় আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিন। দুই আসামিকে পৃথক আদালত সাজা প্রদান করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যশোরে সোনা চোরাচালান ও অস্ত্র মামলায় দুই আসামির সাজা
Leave a comment