যশোর প্রতিনিধি : যশোরের জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যা মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত দু;জনকে খালাস পেয়েছেন। বুধবার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খুলনা আদালতের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- যশোর রেলরোড ফুড গোডাউনের উত্তর পাশের বাসিন্দা ফরিদ মুন্সির ছেলে রায়হান মুন্সী, আশ্রম সড়কের পূর্বাংশের বাসিন্দা আব্দুল আলিমের ছেলে আমজাদ হোসেন আকাশ, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউন এলাকার মিরাজ বিশ্বাসের ছেলে মন্টু ওরফে আলী রাজ বিশ্বাস অপূর্ব ওরফে হিটার রাজ, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মসজিদ এলাকার রইচ উদ্দীনের ছেলে আলামিন, শংকরপুর হারান কলোনির বাবু মীরের ছেলে ইছামীর ওরফে ইছা ও চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিজভী। এরমধ্যে আমজাদ ও ইছামীর পলাতক আছেন।এছাড়া খালাস পেয়েছেন-যশোর রেলরোড ফুড গোডাউন এলাকার শামছুল আবেদীন মিলন ও শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবারের মোড় এলাকার শামীম আহম্মেদ মানুয়া।
মামলার এজাহার ও আদালতে সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ জুলাই যশোর জেলা যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনিকে হত্যা করা হয়। শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ায় নিজের বাড়ির সামনে অজ্ঞাত ৮-১০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ধনির ভাই মনিরুজ্জামান মনি বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত করে পুলিশ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।
এ বিষয়ে জানতে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আহাদুজ্জামানকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।