যশোর প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আইনে থানায় মামলা হয়েছে।গত বুধবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি করেছেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। মামলার বিষয়টির বিষয় সত্যতা করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন তাকে আটকের জন্য পুলিশ কাজ করছে। এর আগে গত মঙ্গলবার লাইভে এসে আনোয়ার হোসেন বিপুল জেলা আওয়ামীলীগী সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল বক্তব্য প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলামের মিলন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
শহিদুল ইসলাম মিলন এজাহারে বলেছেন ,গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে আনোয়ার হোসেন বিপুল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে মিলনের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন।টাকা দিতে অস্বীকার করায় নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান বিপুল। এছাড়া বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করার হুমকি দেন ও ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নেয়ার হুমকি সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। একপর্যায়ে বাঁদিকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। তার জেরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়বিপুল তার নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ বিভিন্ন পদধারী নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দেন। শহিদুল ইসলাম মিলন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রচারণায় মান ক্ষুন্ন হয়েছে। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম মিলনের দুইকোটি টাকার মানহানী হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত এ কে এম শফিকুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, মামলা গ্রহণের পর পুলিশ বিপুলকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।#