যশোর অফিস : যশোর পৌরসভার হরিজন পল্লীর বিদ্যুৎ লাইন সচল করে না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ার দিয়েছেন পৌরসভার হরিজনরা। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিলে এ ঘোষণা দেয় নেতৃবৃন্দ। যশোর পৌরসভা শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে রেলস্টেশন হেলা সমাজ ও বাজার হরিজন কলোনী, মনিহার তালতলা কলোনী, পুরনো পৌরসভা কলোনী ও ধর্মতলা কলোনীর তিন শতাধিক হরিজনরা প্রায় দুই ঘণ্টা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করে।
যশোর পৌরসভার শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি মতি লাল বলেন, রাত ১২টার মধ্যে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশনের হরিজনদের দুটি কলোনীর বিদ্যুৎ লাইন সচাল করে না দিলে যশোর পৌরসভার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ার প্রতিবাদে গত দুইদিন কাজ বন্ধ রেখেছে যশোর পৌরসভার হরিজনরা। পৌরসভা শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখায় শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার স্তুপ জমা হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্কুল-কলেজ গামি শিক্ষার্থী ও পথচারিরা মুখ চেপে চলাচল করছে।
শহরের রেলগেট তেতুলতলা মোড় এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা না নিয়ে যাওয়ায় পশু-পাখিতে এসব ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল সরকার বলেন, বর্তমান মেয়র আমাদের সাথে আলোচনা না করে রেলস্টেশন এলাকার হরিজন কলোনির বিদ্যুতের লাইন গত দুইদিন ধরে বিচ্ছিন্ন রেখেছে। এর প্রতিবাদে আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পৌরসভার সকল পরিচ্ছন্নের কাজ বন্ধ রেখেছি।
এদিকে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে যশোর হরিজন পল্লীতে বকেয়া পড়া প্রায় ৫ কোটি টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধের ঘোষণা দিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু।
যশোর (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমি এখানে মাত্র ৩ মাস এসেছি। এত বছর কিভাবে হরিজন পল্লীতে বিদ্যুৎ সংযোগ রাখা হয়েছে-তা আমি বলতে পারবো না।