যশোর অফিস
যশোর শহরের লোহাপট্টি হাটখোলা রোড (পুরাতন গোশ মার্কেট) পৌরসভা মার্কেটের নিচতলায় শৌচাগার গুড়িয়ে ব্যবসায়ীর ধান গম ভাঙানো মেশিন বসানোর ফলে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছেনা। ওই ব্যবসায়ীকে বললেও তিনি কোন কর্নপাত করছেন না। বরং নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় অতিষ্ঠ ৪০ ব্যবসায়ী ও পাশের পতিতালয়ের ২৯ বাসিন্দা তাই পৌরসভার মেয়র বরাবর সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন। তবে এখনো কোন সুরাহা হয়নি।
অভিযোগে জানা গেছে, এই মার্কেটের বাবলু এন্টারপ্রাইজের মালিক মো: নজরুল ইসলাম (বাবলু) তৎকালীন সময়ের সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে শৌচাগারের জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে ধান চাল আটা ভাঙানোর মেশিন স্থাপন করেন। মার্কেটের ১১ নম্বর ঘরটি ছিল একটি শৌচাগার। এখানে মার্কেটের ব্যবসায়ীরাসহ দোকানে আসা ক্রেতারা ওই শৌচাগার ব্যবহার করতেন। কিন্তু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (বাবলু) দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি তার দখলে নিয়ে শৌচাগার গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে মেশিন স্থাপন করেন যার কোন অনুমোদন নাই। এতে যেমন রাতদিন মেশিন চালু করলে বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত থাকে। ভবনেরও ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে চরম শব্দ দুষনের অভিশাপ। এছাড়াও বাবলু ধান, গম পেষনের পাশাপাশি বিটলবন এবং কবিরাজিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন গাছের শিকড় বাকলও মেশিনে পেষণ করে ফলে প্রায়শই এর আশেপাশে চরম ও অসহনীয় দুর্গন্ধ বিরাজ করে যা এখানের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য চরম হুমকি স্বরুপ।
পতিতালয়ের বাসিন্দারা বলেছেন, বাবলুর মেশিনের কারণে এখানকার শিশু ও বৃদ্ধদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। শব্দ দূষণে তাদের রাতের ঘুমও একপ্রকার হারাম হয়ে গেছে। আবার মেশিন চলায় তাদের বাথরুম, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এঘটনায় আমরা পৌরমেয়রের কাছে অভিযোগ করেছি কিন্তু এখনো কোন সুরাহার লক্ষণ দেখছি না। যদি তাড়াতাড়ি এর সুরাহা না হয় আমরা দলবব্ধ হয়ে পৌরমেয়রসহ ডিসি-এসপির কাছে যাবো।
এদিকে, বাবলুকে মেশিন অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য ব্যবসায়ীরা কয়েকবার মৌখিকভাবে বললেও তিনি তা কর্ণপাত করছেন না। তবে তিনি ৩০ ডিসেম্বর/২০ মেশিনটি সরিয়ে নেবেন বলে ব্যবসায়ীদের কাছে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু অদ্যবধি তিনি মেশিনটি অন্যত্র সরিয়ে নেননি। ফলে উপায়ন্তর না পেয়ে মার্কেটের ৪০ ব্যবসায়ী ও পাশের বাবু বাজারের পতিতালয়ের ২৯ বাসিন্দা পৌরসভায় অভিযোগ করেন।