॥ ডাক্তার ও সাংবাদিকদের বিরোধ সমাধানে সমবায় প্রতিমন্ত্রী ॥
যশোর ২৫০ শহর জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে চিকিৎসকদের ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক সমস্যার সমাধান করেন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউসে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুনা রশিদ, বিএম’র সভাপতি কামরুল ইসলাম বেনু, সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, ডাক্তার মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা, দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক একরামদ্দৌলা, গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, তৌহিদুর রহমান, মনোতোষ বসু, এইচ আর তুহিন, আকরামুজ্জামান, এসএম ফরহাদ, গোপীনাথ দাস, এম আর মিলন, সাকিরুল কবীর রিটন, সিকদার খালিদ, শেখ দিনু আহমেদ, দেওয়ান মোর্শেদ আলমসহ অনেক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মীমাংসা সভায় হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হারুনুর রশিদকে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। সেই সাথে সাংবাদিকদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মেনে কাজ করার অনুরোধ করেন মন্ত্রী। ডাক্তার হারুন রশিদ সবার সাথে হাত মিলিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
॥ প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবির কর্মসূচি স্থগিত ॥
যশোরের কেশবপুরের শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাতার হোসেনের অপসারণের দাবিতে ডাকা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থানা পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যখন-তখন শিক্ষর্থীদের সাথে অশালীন আচরণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ওই কর্মসূচির ডাক দেয়। এদিকে, কর্মসূচি শুরুর পূর্বে থানার এস আই অসিম এসে আন্দোলনকারীদের জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ব্যাপারে আমার মাধ্যমে বিচারের আশ^াস দিয়েছেন। ওই আশ^াস পেয়ে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
প্রধান শিক্ষক মোহাতার হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ডাকার কারণে বিশৃংখলার ভয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ১টার পরিবর্তে ২টা ১৫ মিনিটের সময় টিফিন দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন এবং থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে তিনি এসব ঘটনায় অভিভাবকদের সাথে বসবেন বলে জানান।
॥ দোকানে মাদক কারবারিদের হামলা ও মারধর ॥
যশোর শহরের ঝালাইপট্টিতে গাঁজা সেবন ও ব্যবসা করতে নিষেধ করার অপরাধে বাঁধন ফাস্ট ফুড নামে এক দোকানে হামলা চালিয়েছে একদল মাদকসেবী ও কারবারিরা। চুড়িপট্টি এলাকার হেলালের ছেলে মাদক কারবারী ও মাদকসেবী স্বাধীনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল উক্ত দোকানের মালিক মহসিন সরকারকে মারধর করে। এ সময় মারামারি ঠেকাতে গেলে অপর এক স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজের উপরও চড়াও হয়ে মারধর করে তারা। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ঝালাইপট্টি রোডে। মারধরের শিকার মহসীন সরকার জানান, আমি তাকে (শাহাজান) গাঁজা সেবন ও বিক্রি করতে নিষেধ করায় আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। যার প্রেক্ষিতে আজকে আমার উপর এই হামলা হয়েছে।
সদর ফাঁড়ির একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক আমারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে আমারা তাদেরকে আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রেখেছি।
॥ জমি-জমার বিরোধকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বিরোধে পরিণত করার চক্রান্ত ॥
যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বিরোধে পরিণত করার চক্রান্ত করছে আব্দুর মান্নান ও মাধাই গংরা। ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক খাতে প্রভাবিত করে মালিকানা জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছে তারা। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবদার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবদার হোসেনের পিতা আব্দুল মোতালেব, চাচা আব্দুল খালেক, সাবেক মেম্বর বদর উদ্দিন বুদো, প্রতিবেশী মন্টু শেখ, সৈয়দ আলী, জামাল মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন রিপন, মোহাম্মদ করিম, শুকুর আলী, ফারুক হোসেন, নাহার বেগম, তোফাজ্জেল হোসেন, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, শেখ সুইট প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবদার হোসেন জানিয়েছেন, পৈত্রিক সূত্রে বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার পরিবার ভেকুটিয়া গ্রামে হিন্দু-মুসলিম মিলে-মিশে বসবাস করে আসছেন। আমাদের পৈত্রিক ৮ শতক জমি অজিত গংদের নামে ভুল রেকর্ড হয়। এরপরে ওই জমি একই এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মান্নান গং অবৈধ ভাবে দখল করে রাখে। আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ডিক্রি প্রাপ্ত হলেও ওই জমি দখল করতে পারেনি আমরা। এ সময় ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক পরিবারকে উস্কে দিয়ে বিষয়টি সাম্প্রদায়িক গোলযোগের দিকে প্রভাবিত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে মান্নান ও মাধউ গংরা।
এ ঘটনার জোরদার তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা ও সত্য উদঘাটন করে আমরা ন্যায্য জমি ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
॥ হত্যা মামলার আসামী রিমান্ডে ॥
যশোরে কাঠ ব্যবসায়ী মাসুদ হত্যা মামলায় আটক শিমুল হোসেন শান্তর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল রিামন্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। শান্ত অভয়নগরের প্রেমবাগ গ্রামের পশ্চিমপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট রাতে যশোর সদরের বসুন্দিয়া গাইদগাছি গ্রামে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে মাসুদ রানা নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা ও কয়েজনকে আহত করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মাসুদের মা যশোর সদরের কেফায়েতনগর গ্রামের খাদিজা বেগম ৬ জনের না উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শিমুল হোসেন শান্তকে আটক ও ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। গতকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
॥ চুরির ঘটনায় আটক দুইজনের দুইদিন রিমান্ড ॥
বেনাপোলের দূর্গাপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ভাড়া বাসায় চুরির ঘটনায় আটক দুইজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আসামিরা হলো দূর্গাপুর গ্রামের ধলু খানের ছেলে আলামিন হোসেন ও ভবেরবেড় গ্রামের শামীম মোড়লের ছেলে শালিক। বৃহস্পতিবার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রাণী এ আদেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান দূর্গাপুর গ্রামের আমানত উল্লাহ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। গত ৫ আগস্ট গভীর রাতে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে যশোর নিয়ে আসেন। ৮ আগস্ট সকালে প্রতিবেশীর দেয়া সংবাদে তিনি জানতে পারেন বাসায় চুরি হয়ে গেছে। যশোর থেকে তিনি বাসায় ফিরে দেখেন চোরেরাদরজার হ্যাজবোল্ড ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, সোনার গহনাসহ ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুইজনকে আটক ও তিনদিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। গতকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
॥ চুড়ামনকাটিতে নারীকে মারপিট ॥
যশোরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ফাতেমা খাতুন (৩৭) নামে এক নারী আহত হয়েছেন। তিনি চুড়ামনকাটি এলাকার মৃত মাজেদের মেয়ে। আহত ফাতেমার ভাই মিঠুন মিয়া জানান, তার নিজ বাড়িতে একটি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই জমি দীর্ঘদিন প্রতিবেশি এনামুল হোসেন নিজের দাবি করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার বিকালে এনামুল নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায় এনামুল, আব্দুর রব, শিউলী বেগম ও সাইমুল হোসেন তাকে মারপিট করে। এ সময় তার বোন ফাতেমা বাধা দিলে হামলাকারী তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন ফাতেমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়েছেন বলে জানান মিঠুন মিয়া।