জন্মভূমি ডেস্ক : ভুয়া ঠিকানায় সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পার্সেলে এসেছে চকলেট ও কেক। কিন্তু মূলত এগুলো মাদক। ভুয়া নাম দিয়ে আনা হয়েছিল সেগুলো। তাও খেলনার প্যাকেটে ভরে। তবে পার্সেলটি প্রাপকের হাতে পৌঁছানোর আগেই সেটি জব্দ করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি। তারা হলেন- রাসেল মিয়া (২০), ইমরান মিয়া (২১) ও মো. ইমরান (২০)।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, সেগুলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখার মাধ্যমে আনা হয়েছিল৷ পার্সেলটিতে দেওয়া ঠিকানা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় সন্দেহ হয় ডাক কর্মকর্তাদের। এরপর এসব প্যাকেট যাচাই করতে গেলে সেখান থেকে বের হয়ে আসে কোটি টাকা মূল্যের মাদক।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরেরের মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
পার্সেলের গায়ে কোনো ঠিকানা লেখা ছিল না, কেবল একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, সেই সূত্র ধরে প্রথমে ঢাকার আশুলিয়া থেকে মো. রাসেল মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মুস্তাকীম বিল্লাহ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক কারবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে এ ব্যবসা করছিলেন। তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাদক কেনাবেচায় মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
তিনি জানান, পার্সেলটি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে এসেছিল। এসময় গাঁজার নির্যাস থেকে তৈরি ছয় প্যাকেট টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিল যুক্ত কুশ, আমেরিকান গাঁজার তৈরি নয়টি চকলেট ও ১০টি কেক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য কোটি টাকা। এসব গাঁজা সিনথেটিকভাবে তৈরি করা হয়। যা বাংলাদেশে উৎপাদিত গাঁজা থেকে শতগুণ ভয়াবহ।