জন্মভূমি রিপোর্ট : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পরিকল্পিত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গোপালপুর গ্রামের মৃত শেখ মোন্তাজ উদ্দিনের স্ত্রী সাহিদা বেগম তার স্বামীর সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। তার পিতার বাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নে। গত ২৭ মে পাইকগাছা পৌর এলাকার বাতিখালী ওয়ার্ডের রেজাউল মোড়লসহ ৪/৫ জন তার বাড়িতে যায়। তারা সাহিদাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। স্বামীর সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলের দাবীতে সাহিদা গত ১/৬/২৩ তারিখ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত পাইকগাছা বরাবর আদেন করেন। আদালত রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা লতিফা আখ্তারকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিনি বিবাদী রজাউল মোড়ল গংদের সঙ্গে নিয়ে তদন্তে যেয়ে সাহিদাকে বাড়ি না পেয়ে একতরফা প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সাহিদার পিতার বাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ভগবতিপুর, রায়পুর গ্রামে। সাহিদা তার নালিশী ০.৩৬ সম্পত্তিতে ভোগদখল করেন না। বিবাদীপক্ষ সম্পত্তিতে দখলে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে সাহিদা বেগম বলেন, তার মা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তিনি সেখানেই ছিলেন। তাছাড়া তদন্তে আসার সংবাদ তিনি জানতেন না। তাকে না জানিয়ে পরিকল্পিত ভাবে একতরফা এ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা লতিফা আখ্তার দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, আদালতের নির্দেশে আমি তদন্তে গিয়েছিলাম। সাহিদাকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। বিবাদীগণ সঙ্গে ছিলেন। আমি সাহিদার প্রাপ্য অংশ সম্ভাবত ০,৩৬ প্রতিবেদনে উল্লেখ করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় কি লিখেছি মনে পড়ছে না। যদি প্রতিবেদনে কোন ভুল হয়ে থাকে সাহিদা আমার অফিসে এলে সংশোধন করে দেয়া যাবে।