জন্মভূমি ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাবের হাতে আটক সুরাইয়া খাতুন (৫২) নামের এক নারী আসামীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের উপস্থিতিতে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৭টার দিকে র্যাব সদস্যরা সুরাইয়া খাতুনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুরাইয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দি গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ওই নারী ও তাঁর ছেলে তাইজুল ইসলামকে (২৩) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা এলাকা আটক করে র্যাব। পরে তাদের দুজনকে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকালে সুরাইয়াকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ জানান, শুক্রবার সকাল ৭টায় র্যাব সদস্যরা সুরাইয়া খাতুন নামের এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার বিনিত দাস তাকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি বলেন, মৃত অবস্থায়ই তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে র্যাব হেফাজতে থাকা নারী আসামি সুরাইয়া বেগমের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে এই বিষয়ে ভৈরব র্যাবের ক্যাম্পের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহত সুরাইয়া খাতুনের স্বামী আজিজুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে আটক করে র্যাব। পরে শুক্রবার সকালে খবর পেলাম আমার স্ত্রী র্যাবের হেফাজতে মারা গেছেন।
জানা গেছে, যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগে সুরাইয়া বেগম, তাঁর স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন পুত্রবধূর পরিবার। সেই মামলায় তাদের আটক করে র্যাব।