জন্মভূমি ডেস্ক : বাগেরহাট শরণখোলায় পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমন ধান। কীটনাশক কিনে খেতে স্প্রে করেও সুফল মিলছে না। কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফলন নিয়ে। পোকার আক্রমণ এখনই দমন করা না গেলে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কয়েক দিন ধরে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রাজাপুর, বাধাল, সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা, বকুলতলা, দক্ষিণ তাফালবাড়ী, দক্ষিণ সাউথখালী, রায়েন্দা ইউনিয়নের চাল রায়েন্দা, চালিতাবুনিয়া, লাকুড়তলা, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্যখোন্তাকাটা, মঠেরপাড়, গোলবুনিয়া ও খেজুড়বাড়ীয়া গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রোপা আমন ও ইরি ধানখেতে লোদা, গুঁড়ি ও পাতামোছড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকায় সদ্য লাগানো ধানের চারা গাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে। চালিতাবুনিয়া গ্রামের কৃষক ফজলু জোমাদ্দার বলেন, পোকার আক্রমণে চার কাঠা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। সোনাতলা গ্রামের আনছার হাওলার, রায়েন্দা গ্রামের আ. রব প্যাদা, বকুলতলা গ্রামের মোসলে মীরসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষক বলেন, বাজার থেকে আর্টিমা প্লাস, সমিক্রন, কাটাপ ও বায়াকো জাতীয় কীটনাশক কিনে খেতে স্প্রে করা হচ্ছে। এতেও পোকা মরছে না। অচিরেই পোকা দমন করা না গেলে এ বছরের আমন উৎপাদন কমে যাবে। তাফালবাড়ী বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মিলন হাওলাদার বলেন, বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি হয়। কিন্তু প্রশিক্ষণের অভাব। এ কারণে কৃষকেরা নিয়মমাফিক ওষুধ দিতেও জানে না। ২ নম্বর খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, ধানখেতে পোকা লেগেছে। পোকা দমনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, পোকা দমনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। বর্তমানে ধানখেতের এ পোকা তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।