শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা
শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আগেই উপজেলার গাবতলায় বলেশ্বর নদের তীরে নতুন বেড়িবাঁেধ ফাটল দেখা দিয়েছে। তিন বছর মেয়াদী বাধঁ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আট বছরে গড়িয়েছে।
খবর পেয়ে সরেজমিনে শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধ দেখতে গেলে সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাউথখালী (গাবতলা) গ্রামের বাসিন্দা আ: রশিদ হাওলাদার, সোবাহান হাওলাদার ও লিটন হাওলাদার বলেন, গত ২-৩ দিন ধরে হঠাৎ করে বলেশ্বর নদীর তীরে নির্মিত নতুন ওয়াপদা বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় একশ’ ফুট জায়গা জুড়ে বাঁধে ফাটল ধরায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১০টি পরিবারের বসত ঘর। বাধ নির্মাণে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে মাটির বদলে বাঁধে বেশিরভাগ বালি ব্যবহার এবং নদী শাসন না করায় বাঁধে এ ফাটল দেখা দেওয়ার কারণ বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ব্যায়ে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জের ৩৫/১ পোল্ডারে ৬২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়। তিন বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ ৫ দফা বাড়িয়ে আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। চীনের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোজাম্মেল হোসেন বলেন, গাবতলাসহ বাঁেধর বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে মাঝে ফাটল ও দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন।
উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (সিইআইপি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুল আলম বলেন, শরণখোলার গাবতলায় বেড়িবাধেঁ ফাটল দেখা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নানা জটিলতায় তিন বছর মেয়াদী বেড়িবাঁধের কাজের মেয়াদ ৫ দফা বাড়িয়ে আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ঐ নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন।