বাগেরহাটে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এষ্টেটের শরণখোলার পাচ রাস্তার মোড়ের কার্যালয়টি ইউ এন ও কর্তৃক বুধবার সাইনবোর্ড অপসারনসহ সিলগালা করে দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে মোড়েলগজ্ঞের পিসি বারইখালী এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ষ্টেটের চেয়ারম্যান আ: সামাদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সচীব মাওলানা ফজলুল আলম এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় ষ্টেটের, আ: বারী হাওলাদার, এস এম হাবিবুর রহমান, আ: বারেক হাওলাদার, খলিল শেখ, মো: আলা উদ্দিন হাওলাদার, মো: খোকন শেখ, মো: রেজাউল ইসলাম মুকুল, রেস্কোনা আক্তার বেবী, হেমায়েত ফকির, মো: নবীন বিল্লা, সিদ্দিক হাওলাদার, সোহরাব বিশ্বাস, মো: কাওসার হাও: মো: সুমন হাও:মো: শাহ আলম, মো: জাকির হোসেন, মোসা: হাওয়া বেগম, মাহমুদা বেগম, মো: ফরিদ খান, মোক্তার মুন্সি প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশে জেলার মোড়েলগজ্ঞ ও শরণখোলা উপজেলার এসএবিআরএস জরীপের রেকর্ড (সংশোধনী) গেজেট চৌহদ্দির সাবেক সি এস জরিপের সকল জে এল নং সিট নক্সার রাইট মোতাবেক ভূ-সম্পত্তি এস, এ রেকর্ডের ভিত্তিতে মিউটেশন বাতিল চলমান বিআরএস জরিপের কার্যক্রম স্থগিত, সম্পত্তি হস্তান্তর ও রেজিষ্ট্রি বন্দ করিয়া সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এষ্টেটের অধিনে সকল আবেদন কারীর নামে খতিয়ান খোলার জোর দাবি জানান। দে: ৪৬/১১ নং মোকদ্দমার আদেশনুযায়ী উক্ত সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের মুল ভায়া সকল হাওলা স্বত্বের উত্তরাধিকারীদের মাঝে নতুন ভাবে হস্তান্তর ও নতুন খতিয়ান খোলার সিন্ধান্ত নেওয়ার কারনে গত (২৪) আগস্ট শরণখোলার রাস্তার মোড়ে নজরুল খার বাড়িতে ভাড়া নিয়া ওই কার্যালয়ে শরণখোলার যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করি। কিন্ত গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমাদের অফিসটি সিলগালা করে দেন। এসময় অফিসের মালামাল ও তসরুপ হয়েছে। উক্ত সভায় সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কেয়ারের বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের মালিক আ: সামাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে সদস্যরা জেলা প্রশাসকের বরাবর তার কার্যালয়ের তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দোষারোপ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শরণখোলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশে কোনো জমিদারী প্রথা নেই দেশের সকল জমির মালিক সরকার, কিন্তু জনৈক সামাদ নামে এক দীর্ঘ দিন ধরে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের মালিক দাবি করে মোড়েলগজ্ঞ ও শরণখোলার বিভিন্ন অসহায় ও নিরিহ লোকজনকে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের জমি দলিল করে দেওয়ার কথা বলে সাধারন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি কোনো আইন কানুন মানতে রাজী নন। যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। একারনে তিনি রায়েন্দ বাজারে তাদের একটি অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন।