ডেস্ক নিউজ : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ইকবাল কবিরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আজ আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তিনি আদেশের বিষয়টি জানান।
এর আগে শহিদুল আলম তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করেন। রিটে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
এ মামলায় প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই আলোকচিত্রী।
২০২১ সালের ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখায়।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঢাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে উসকানি দিয়েছিলেন।
পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার করেছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
গত ১৪ মার্চ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে করা রমনা থানার মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা এ মামলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে তদন্ত চলমান রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৫ আগস্ট একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন শহিদুল আলম। তখন রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। ওই দিন রাতে আইসিটি আইনে শহীদুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়। সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১০৭ দিন কারাভোগের পর ওই বছরের ২০ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।