এ ঘটনার জন্য লিজ গ্রহীতা টিটোকে দায়ি করেছেন কাঠ ব্যবসায়িরা
জন্মভূমি রিপোর্ট : গত ৫ ফেব্রয়ারি সোমবার মহানগরীর শিপইয়ার্ড সড়কে কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সরকারী কাজে বাধাঁ, হামলা, ভাংচুর, ক্ষতিসাধণ ও আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে খুলনা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সাথে কাঠ ব্যবসায়িদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলা হয়েছে কথিত লিজ গ্রহীতা মোঃ ফায়জুল ইসলাম টিটোর ভাড়া করা লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান জানান, শিপইয়ার্ড সড়কে কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সরকারী কাজে বাধাঁ, হামলা, ভাংচুর, ক্ষতিসাধণ ও আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মো. মোন্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী ৫ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চালাতে যাই। কিন্তু সেখানে অবৈধ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে ৪ জনকে আহত করে।
এদিকে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ সেলিম কাজী আরো বলেন, রূপসা ষ্টান্ড রোডে প্রায় ৩৯টি ছোটবড় স- মিল রয়েছে। প্রতিটি মিলে নারী ও পুরুষ মিলে এক একটি মিলে ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক কর্মরত আছে। সব মিলিয়ে ১৪০০ শ্রমিকের কর্ম সংস্থান। এই ১৪০০ শ্রমিকের পরিবারের সদস্য সহ গড়ে ৫ জন করে হিসাব করলে প্রায় লক্ষাধিক এবং এসব মিলকে কেন্দ্র করে ভ্যান, ঠেলাগাড়ী, ট্রাক ও ট্রলার শ্রমিকদের সংখ্যাও প্রায় ৫ হাজার। এদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন করে হিসাব করলে ২৫ হাজার। এই ব্যবসার উদ্যোক্তা, মুদি দোকান, চা দোকান, হোটেল, কাঠ ব্যবসায়ীদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা হিসেবে করলে আরও ২৫/৩০ হাজার লোক। সর্বসাকুল্যে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের রুটি রুজির বিষয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট জেসমিন পারভীন জলি বলেন, সরকারের বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠান সৌন্দর্যাবর্ধন বা অন্য কাজে ব্যবহার করেন শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে আমাদের যথাযথ পূর্ণবাসন দিয়ে প্রতিস্থাপন করলে আমরা স্থানন্তরিত হবো। তবে কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সম্পদ আহরনে ব্যবাসায়ি স্থান তৈরী করলে আমরা মেনে নেব না। তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ন্যায় সংগত নগরিক অধিকার আদায়ে আমরা মানববন্ধন শুরু করলে জনৈক মোঃ ফয়েজুল ইসলাম টিটোর লেলিয়ে দেওয়া কতিপয় বর্হিরাগত উচ্ছশৃংখল ও সন্ত্রাসী বাংলাদেশ অভ্যন্তরিত নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ প্রশাসনের উপর হামলা করে। যা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে নিরীহ ও দরিদ্র স্ব-মিল শ্রমিকদের আসামী করে সুদীর্ঘ ৫০ বছর এবং ব্যবসা, বনবাস হইতে উচ্ছেদের একটি নীল নকশার অংশ।