জন্মভূমি ডেস্ক : একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে স্বর্ণের মজুদ। ১৮ শতক ও পরের শতকের উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে মূল্যবান এ ধাতু রাষ্ট্রীয় সম্পদের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে পরিচিতি পায়। এদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
১৯৭০ এর দশকে আনুষ্ঠানিকভাবে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পরিত্যক্ত হওয়া সত্ত্বেও অনেক দেশ এখনো স্বর্ণের মজুদ বজায় রাখে। হাল আমলে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে এ রিজার্ভের চাহিদা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারো প্রাথমিক নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে স্বর্ণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এছাড়া স্বর্ণের মজুদ একটি দেশের ঋণযোগ্যতা ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থানকে প্রভাবিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ফোর্বস অনুসারে দেখে নিন শীর্ষ মজুদকারী ১০ দেশের কাছে কী পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৬৪ টন স্বর্ণের মজুদ রয়েছে। এরপর জার্মানির কাছে রয়েছে তিন হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন। তৃতীয় সর্বোচ্চ মজুদ ইতালির দুই হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন। এরপরই ফ্রান্সের অবস্থান, তাদের রয়েছে দুই হাজার ৪৩৬ দশমিক ৮৮ টন স্বর্ণ। পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ার ভাণ্ডারে রয়েছে দুই হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন স্বর্ণ। চীনের হাতে রয়েছে দুই হাজার ১৯১ দশমিক ৫৩ টন স্বর্ণ। এক হাজার ৪০ টন স্বর্ণ নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থান রয়েছে সুইজারল্যান্ড। জাপানের মজুদ রয়েছে ৮৪৫ দশমিক ৯৭ টন। এছাড়া যথাক্রমে ৮০০ দশমিক ৭৮ টন ও ৬১২ দশমিক ৪৫ টন স্বর্ণের মজুদ নিয়ে নবম ও দশম স্থানে রয়েছে ভারত ও নেদারল্যান্ডস।
শীর্ষ ১০ দেশের ভান্ডারে স্বর্ণের মজুদ, বাংলাদেশে দাম কমলো
Leave a comment